Irony in getting NID services

গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অসংখ্য নাগরিক। করোনা মহামারির মধ্যে অনলাইনে সেবা দেওয়ার কথা বলা হলেও সঠিক সেবা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারছেন না তারা। বিশেষ করে এনআইডি সংশোধন, এনআইডি ইনকমপ্লিট স্ট্যাটাস, নতুন ভোটার এবং এনআইডি হারানো কার্যক্রমে মন্থর গতি লক্ষ্য করা গেছে। এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এনআইডি বিতরণের শুরু থেকে এনআইডির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করে এসেছেন সশস্ত্র বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পর্যায়ের একজন সেনা কর্মকর্তা। কিন্তু এবারই প্রথম একজন আমলাকে এনআইডি মহাপরিচালক করা হয়ছে। যে কারণে এনআইডি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, অনেক সেবা নেওয়ার জন্য বর্তমানে এনআইডি নম্বর জমা দেওয়া ‘বাধ্যতামূলক’ হয়ে গেছে। আর অনেকের এনআইডি না থাকার কারণে কিংবা না পাওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার পর ইসিতে জমা পড়া অসংখ্য আবেদন অনিষ্পত্তি অবস্থায় পড়ে আছে। লকডাউনের কারণে স্থানীয় অফিসগুলো প্রায় বন্ধ। জরুরি এনআইডি সেবা পাচ্ছেন না কেউই

ইসি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোটার হওয়ার পরও যারা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) না পাওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়ছেন, তাদের জন্য একটি বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে এনআইডি নম্বর। এক্ষেত্রে মোবাইলের বার্তার অপশনে গিয়ে ইংরেজিতে NID লিখে স্পেস দিতে হবে। এরপর লিখতে হবে ভোটার হওয়ার নিবন্ধন ফরম নম্বর। তারপর আবার স্পেস দিয়ে দিন-মাস-বছর ফরমেটে জন্ম তারিখ লিখে পাঠাতে হবে ১০৫ নম্বরে।

প্রসঙ্গত, গত মার্চে হালনাগাদের পর দেশে ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার ৬৬৯ জনে। এদের মধ্যে এবার নতুন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫৬ জন, যারা নতুন ভোটার হিসেবে এনআইডি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

ইসি কর্মকর্তা বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে খুব জরুরি এবং টিকাদান কার্যক্রমের প্রয়োজন ব্যতীত কাউকে মাঠ পর্যায়ে সেবা দিচ্ছে না ইসি। এক্ষেত্রে অনলাইনে নিজের এনআইডি নিজেকেই ডাউনলোড করার সুযোগ দিয়েছে ইসি। তাত্ক্ষণিক এনআইডি নম্বরের প্রয়োজন পড়লে ১০৫ নম্বরে মেসেজ দিলেই হবে। আর নিজের এনআইডি নিজেই ডাউনলোড করে নিতে চাইলে একটু সময় লাগবে। কেননা এতে ইসির ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার পর এটা নিতে হয়। আর একজন ভোটার কেবল একবারই এটা নিতে পারেন। পরে প্রতিবারের জন্য ইসি নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হয়।

 

এ বিষয়ে ইসির এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) নুরুজ্জামান তালুকদার ইত্তেফাককে বলেন, এখন এনআইডি নম্বর ছাড়া কোনো কাজই করা যায় না। এজন্য যাদের জরুরি ভিত্তিতে নম্বর প্রয়োজন, তাদের আমরা মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে এনআইডি নম্বরটা জানিয়ে দিই। এছাড়া অনলাইনে নিজের এনআইডি নিজেই ডাউনলোড করে নেওয়ার সুযোগ তো আছেই।