লাগাম ছাড়া চলছে নিত্যপণ্যের বাজার। দামের আগুনে কেউ হিসাব মেলাচ্ছেন কম কেনার তত্ত্বে। কেউ বা ধার করে মেটাচ্ছেন সংসার খরচ। এর মধ্যে আবার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে। এদিকে তেলের দাম বেশি ও সরবরাহ সংকটের দায় ডিলার ও মিলারদের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা।
‘আমরা যখনই বাজারে পণ্য কিনতে আসি, প্রত্যেকটি পণ্যেরই দাম বেশি। শুধু একটু খেয়ে পরেই বাঁচতে চাই। কিন্তু এখন এ খেয়ে পরে বাঁচাটাই মুশকিল।’
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির পাল্লার সঙ্গে আয়ের হিসাব মেলাতে না পেরে এভাবেই নিজের অসহায়ত্বের কথা জানালেন একজন ভোক্তা। তার মতোই বাজারে এসে হিসাব মেলাতে পারছেন না মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্তের কেউই। সেই সঙ্গে দাম বৃদ্ধির বাজারে কেউ চলছেন পরিমাণে কম কেনার তত্ত্বে ভর করে।
বাজারে আসা ক্রেতারা নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেন, এখন যে পরিস্থিতি। খুব কঠিন একটি পরিস্থিতির মুখোমুখি। প্রতিদিন যেভাবে লাগামহীনভাবে আমাদের দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে, এর জন্য আমাদের প্রচণ্ড সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
ভোক্তার যখন নাভিশ্বাস, তখন জানা গেল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার বাজারে চলছে বোতলজাত ভোজ্যতেলের তীব্র সংকট। খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশ দামে। তবে বেশি দামে বিক্রির দায় এড়াতে খুচরা বিক্রেতা ও পাইকাররা সংরক্ষণ করছেন বিক্রয় রশিদ।
বিক্রেতারা বলেন, নগদ টাকায় যেখানে আমরা ২ থেকে ৩ টাকা কমে পণ্য পাচ্ছি সেখান থেকে পণ্য কিনছি, যেন কম মূল্যে বিক্রি করতে পারি। ভোক্তারা যখন দেখলেন যে তেলের দাম বাড়বে, তখন তাদের চাহিদা আরও বেড়ে গেছে।
বাজারে ভোজ্যতেলের চলমান সংকট কাটাতে ডিলার ও মিল পর্যায়ে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ খুচরা বিক্রেতাদের। এদিকে বাজারে এসে ব্যয়ের হিসাব মেলাতে পারবেন না, তাই টিসিবির ট্রাক আসার আগে থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে ভোক্তাদের।