ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে সাতক্ষীরা উপকূলের নদ-নদীগুলো। বুধবার সকাল থেকে জেলায় কখনো কখনো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অবার কখনো হালকা বৃষ্টিসহ ঝড়ো বাতাস বইছে। উপকুলের নদীগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঝড়ো বাতাসের সাথে উপকূলের জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধের ওপর আছড়ে পড়ছে ঢেউ।
এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলের মানুষ। শ্যামনগর ও আশাশুনির কিছু কিছু এলাকায় উপকুলের বেড়িবাঁধ উপচে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করলে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বালির বস্তা দিয়ে তা বন্ধের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। কোস্টগার্ড ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলে জনসাধারণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে।
ইয়াস উপকূলীয় এলাকা অতিক্রমের সময় জোয়ার থাকায় ৫-৬ ফুট উচ্চতা জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এলাকায় মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে।
বাঁধ নির্মাণ করছে এলাকাবাসী। ছবিঃseventyonenews
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১৪৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়াও জেলায় দেড় হাজার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে সাত উপজেলার প্রতি উপজেলায় ৫টি ও ৭৮টি ইউনিয়নে একটি করে মোট ১১৩টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ১৮৩ মেট্রিক টন খাদ্যসহ নগদ ২ কোটি ১৫ লক্ষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এদিকে, উপকূলীয় এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৮০০ মিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ৪৩টি পয়েন্ট মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঐসব এলাকার মানুষ আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।