আয়কর কর্মকর্তাদের কর ধার্য করার ক্ষমতা শিথিল করাসহ অনলাইন কর দেওয়া আরও সহজ করার বিধান রেখে আয়কর আইন-২০২৩ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে এই বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
তিনি জানান, এই আইনের ফলে আয়কর নির্ধারণে কর্মকর্তার ক্ষমতা কিছুটা কমানো হয়েছে। সেই সঙ্গে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন প্রদান আরও সহজ করা হবে। ব্যবসায়ীদের আয়কর নির্ধারণে আগে ২৯টি বিষয় মানদণ্ড ছিলো। এখন তা কমিয়ে ১২টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে।
মানুষ যাতে ট্যাক্স দিতে উৎসাহিত হয় এবং ট্যাক্সের পরিধি যাতে বাড়ে সেজন্য এই আইনটি করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, করদাতার করের পরিমাণ আয়কর কর্মকর্তার নির্ধারণ করে দেওয়ার ক্ষমতা থাকছে না এই আইনে। করদাতার দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতেই কর নির্ধারিত হবে। ফলে কর্মকর্তার চাপিয়ে দেওয়া করের পরিমাণ ঠিক করার ফলে আপিলের পরিমাণ কমবে, কমবে করদাতার হয়রানি।
সচিব আরও জানান, সামরিক শাসনামলের অনেক অধ্যাদেশ আছে যেগুলো এখনও আইন আকারে হয়নি। সেটা দ্রুত করার জন্য সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) আইনের এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রী সভা। তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সরকারের কোনও ইনোভেশনকে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য এই আইন করা হয়েছে।
সংস্থাটির ১৫ সদস্যের একটি পরিচালনা বোর্ড থাকবে। বোর্ডের প্রধান হবেন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গার্মেন্টের পর দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি হয় আইটি এবং ফুড প্রসেসিং সেক্টরে। তাই আইসিটি খাতের কাজকে আরও জোরদার করবে এই এটুআই আইন।