গ্রামে ডিজিটাল বুথে মিলবে আর্থিক সেবা

১৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৪৭ শতাংশ মানুষ এখনও আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার বাইরে। সবার জন্য অন্তত একটি অ্যাকাউন্ট সেবা দিতে এবার ‘ভিলেজ ডিজিটাল বুথ’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রামে এ বুথ থেকে চুক্তিবদ্ধ সব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এমএফএস ও বীমা কোম্পানির হিসাব খোলা ও টাকা জমা দেওয়া যাবে। বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স গ্রহণ ও সব ধরনের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করা যাবে।
সরকারের এটুআই প্রকল্প এবং জয়তুন বিজনেস সল্যুশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এ সেবা দেবে। গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। জয়তুন বিজনেস সল্যুশনের চেয়ারম্যান ও ব্যাংক এশিয়ার সাবেক এমডি মো. আরফান আলী এবং এটুআই প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর চুক্তিতে সই করেন। চুক্তির আওতায় এটুআইর ‘পেমেন্ট এগ্রিগেটর প্ল্যাটফর্ম-একপে’ এ কার্যক্রমে কারিগরি ও সার্বিক সহায়তা করবে। জয়তুন বিজনেস সল্যুশনের ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় উদ্যোক্তা নিয়োগসহ অন্যান্য কাজ পরিচালিত হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শিগগিরই পরীক্ষামূলকভাবে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে ৫০টি বুথ স্থাপন করা হবে। আগামী তিন বছরে পর্যায়ক্রমে ৯০ হাজার বুথ স্থাপন হবে। ডিজিটাল বুথ পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন স্থানীয় উদ্যোক্তারা। অ্যাকাউন্ট খোলা, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতা পরিশোধ, রেমিট্যান্সের অর্থ বিতরণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিল পরিশোধ, টেলিমেডিসিন, ই-টিকিটিং- সবই করা যাবে এখান থেকে। পর্যায়ক্রমে ক্ষুদ্রঋণও বিতরণ করা হবে।
আরফান আলী বলেন, ব্যাংকের শাখার পাশাপাশি এজেন্ট ব্যাংকিং, এমএফএসসহ বিভিন্ন সেবার পরও এখনও ১৫ বছরের বেশি বয়সী ৪৭ শতাংশ মানুষের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে ‘ভিলেজ ডিজিটাল বুথ’ বড় ভূমিকা রাখবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক হবে। তিনি বলেন, গ্রাম পর্যায়ে ব্যবসার পরিধি বিবেচনায় অনেক ব্যাংক শাখা স্থাপন করতে চায় না। তবে ডিজিটাল বুথে এক জায়গা থেকে সব ধরনের আর্থিক সেবার ফলে কম খরচে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
এটুআই প্রকল্প পরিচালক বলেন, বর্তমানে এটুআইর আওতায় সারাদেশে ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা ও জেলায় সাড়ে আট হাজারের বেশি ডিজিটাল কেন্দ্র রয়েছে। আর্থিক সেবা দ্রুত পৌঁছাতে নতুন করে প্রতিটি গ্রামে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতের বুদ্ধিমত্তা ও উদ্ভাবনের ফলে দ্রুত সবার কাছে সেবা পৌঁছানো সম্ভব হবে।