বছর প্রায় শেষের দিকে, আপাতত এই বছরে আর মাঠে নামবে না টাইগাররা। নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাস গড়ার বছরটা, শেষ হলো ভারতের কাছে টেস্ট পরাজয়ের মাধ্যমে।
কেমন ছিলো ২০২২ বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য?
বছরের শুরুটা হয়েছিলো দুর্দান্ত ভাবে, মাউন্ট মঙ্গাইনুয়ে অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে, স্বাগতিক ব্ল্যাক ক্যাপসদের ৮ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে, এটিই বাংলাদেশের প্রথম জয়।
বছরের শুরুর মত শেষটাও দুর্দান্ত করার সুযোগ ছিলও টাইগারদের। কিন্তু মিরপুরের মাটিতে প্রথম বারের মত, ভারতকে টেস্টে হারানোর সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ।
এই বছর সাদা জার্সিতে মোট ১০ বার মাঠে নামে টাইগাররা, যার মধ্যে চট্টগ্রামে শ্রীলংকার বিপক্ষে ড্র এবং নিউজিল্যান্ডের সাথে ম্যাচটি ছাড়া, সবগুলো ম্যাচেই হারের স্বাদ নিতে হয় বাংলাদেশকে।
টেস্টে ব্যর্থ হলেও, একদিনের ম্যাচে গত কয়েক বছর সফলতার দেখা পাচ্ছে টাইগাররা। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে, সিরিজ জয় দিয়ে বছর শুরু করে বাংলাদেশ। তবে বছরের অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিলও, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়। শেষটাও হয়েছে দুর্দান্ত, লিটনের নেতৃত্বে, ভারতকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে, সিরিজ নিজেদের করে নেয় টাইগাররা।
এই বছরে মোট পাঁচটি সিরিজে, ১৫ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। যার মধ্যে ১০টি ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে, চারটি সিরিজ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ।
জয়ের সংখ্যা আরও বাড়তে পারতো, যদিনা জিম্বাবুয়ের সাথে ঘরের মাঠে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে বসতো টাইগাররা।
ক্রিকেটের সব থেকে ছোট ফর্মেটে, এখনো নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের ব্যর্থতা তো বটেই, এই বছর বাংলাদেশ মোট টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে ২১টি। যার মধ্যে পরাজয় দেখেছে ১৪টি ম্যাচে। অপরদিকে মাত্র ছয়টি ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে তারা। জয়গুলো ছিলও নেদারল্যান্ড, আরব আমিরাত, জিম্বাবুয়ে এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। বাকি একটি ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়েছিলো।
সব ব্যর্থতাকে পিছনে ফেলে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, এটাই টাইগার সমর্থকদের আশা। লিটন,সাকিবদের নেতৃত্বে ২০২৩ সালে আইসিসি বিশ্বকাপ এবং এশিয়ার সেরা লড়াইয়ে, ভালো কিছু করবে বাংলাদেশ, এটাই টাইগার সমর্থকদের প্রত্যাশা।