মিনিকেট নামে ধানের কোন জাত নেই উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, চালের বস্তায় ধানের জাত লেখার জন্য মিল মালিকদের চিঠি দেয়া হয়েছে। এটি না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (৫ অক্টোবর) সকালে গাজীপুরের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে কৃষিক্ষেত্রে গবেষণা এবং মাঠ পর্যায়ে জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সচিব বলেন, মিনিকেট বলে কিছু বিক্রি করা যাবে না। এখন থেকে মিল থেকে যে চাল বের হবে তার বস্তায় জাত লিখে দিতে হবে। কেউ যদি এটা ব্যত্যয় করে সেক্ষেত্রে অ্যাকশনে যাব আমরা।
উল্লেখ্য, মিনিকেট নামে দেশে কোনো ধানের চাষ না হলেও, বাজার মিনিকেট চালে সয়লাব। অভিযোগ আছে বাজারের জনপ্রিয় এই চাল তৈরি হয়, অন্য চাল ছেঁটে। তবে এমন অভিযোগ বারবার নাকচ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এর মধ্যে বাজারে মিনিকেট নামে চাল থাকবে না এমন বক্তব্যও দিয়েছে সরকারের কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়। এখন ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিনিকেট এখন একটি ব্র্যান্ড, এই নামে চাল না থাকলে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের এক অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে মিনিকেট বলে কোনো চাল নেই। তবু ব্যবসায়ীরা মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত করছেন। যারা মিনিকেটের নামে চাল বাজারজাত করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন করা হচ্ছে।