মস্কোর উদ্যোগে গণভোট, জি-৭ ও ইউক্রেনের নিন্দা

রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউক্রেন ও শিল্পোন্নত সাতটি দেশের জোট জি-৭।

ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিঝিয়া এবং খেরসন অঞ্চলকে ইউক্রেন থেকে আলাদা করতে এ ভোট আয়োজন সংক্রান্ত রুশ পরিকল্পনা ঘোষণার পর এই সমালোচনা এসেছে।

মস্কোর বরাতে সংবাদমাধ্যম এনএইচকে জানায়, শুক্রবার থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ তার এই মত ব্যক্ত করেছেন যে, গণভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে এই অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার সাথে একীভূত করার একটি প্রক্রিয়া শুরু হবে।

ইউক্রেনকে সতর্ক করে দিয়ে পেসকভ বলেন, মস্কো এই একীভূত অঞ্চলগুলোতে পরিচালিত যেকোন হামলাকে রাশিয়ার নিজের উপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করবে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেন যে, রুশ পদক্ষেপগুলো শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ও ইউক্রেনীয় আইনের বিরুদ্ধেই নয় বরং নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি ও তার জাতির বিরুদ্ধেও অপরাধ।

এদিকে জি-৭ নেতৃবৃন্দ এই মর্মে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন যে, তারা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসমূহকে “রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত করার দিকে একটি পদক্ষেপ বলে মনে হওয়া এই গণভোটকে” বা “যদি এটি ঘটে থাকে তবে সেই তথাকথিত একীভূত করার ঘটনাকে” কখনোই স্বীকৃতি দেবে না।

উল্লেখ্য, জি-৭ জোটের দেশগুলো হলো, ক্যানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও অ্যামেরিকা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাঁচ দিন ধর চলা এই গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়া চারটি অধিকৃত অঞ্চলকে অবৈধভাবে নিজেদের বলে দখল করে নিতে পারে।

এই ‘অ্যানেক্সেশন’ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পেলেও, সেসব অঞ্চলের ওপর হামলাকে রাশিয়ার ওপর হামলা বলে দাবি করতে পারে রাশিয়া। যার ফলে যুদ্ধ আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।

অন্যদিকে গতকাল শুক্রবার ইউক্রেন এক ঘোষণায় জানায় যে, ইরানের তৈরি ড্রোনের এক হামলায় ওদেসায় একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যানুযায়ী, ইরান রাশিয়াকে অস্ত্রের যোগান দিচ্ছে। তারা এটিও বলছে যে, তারা ইউক্রেনে ইরানের রাষ্ট্রদূতের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের পাশাপাশি ইরানি দূতাবাসে কূটনীতিকদের সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মার্কিন সরকারও একই অভিযোগ তুলে জানায়, ইরান রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করছে, তবে রাশিয়া এবং ইরান উভয়েই অভিযোগটি অস্বীকার করেছে।

image_pdfimage_print