যুদ্ধে যাওয়া এড়াতে দেশ ছাড়ছে রাশিয়ান নাগরিকরা

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রিজার্ভ সৈন্য সমাবেশের ঘোষণা দেবার পর দেশ ছেড়ে যাবার চেষ্টা করছেন অনেক রুশ নাগরিক।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশত্যাগের জন্য রাশিয়ার সীমান্তে দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।

তবে ক্রেমলিন বলছে, যুদ্ধ করতে সক্ষম ব্যক্তিরা দেশ ত্যাগ করছে বলে যেসব খবরাখবর প্রকাশিত হচ্ছে সেগুলো অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে।

কিন্তু রাশিয়ার সাথে জর্জিয়ার সীমান্তে কয়েক মাইল পর্যন্ত দীর্ঘ গাড়ির সারি দেখা গেছে।

কিছু প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, আপার লারস সীমান্ত চেকপয়েন্টে গাড়ির সারি পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কিছু চালক তাদের গাড়ি সেই দীর্ঘ সারিতে রেখে চলে যাচ্ছেন।

রাশিয়ার সাথে জর্জিয়ার সীমান্ত আছে। রাশিয়া থেকে জর্জিয়া যেতে কোন ভিসার প্রয়োজন হয় না।

এছাড়া রাশিয়ার সাথে ফিনল্যান্ডের ১,৩০০ কিলোমিটার সীমান্ত আছে। তবে ফিনল্যান্ডে যাবার ক্ষেত্রে রাশিয়ানদের ভিসার প্রয়োজন হয়।

ফিনল্যান্ডও বলছে, তাদের সীমান্ত দিয়েও রাশিয়ানদের আসা গতরাতে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সেটি এখনো সামাল দেবার পর্যায়ে আছে।

রাশিয়া থেকে ইস্তাম্বুল, বেলগ্রেড এবং দুবাই যাবার জন্যও অনেকে বিমানের টিকেট কিনেছেন।

প্রেসিডেন্ট পুতিন রিজার্ভ সৈন্য তলবের পরপরই এসব জায়গায় যাবার জন্য বিমানের টিকিটের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। কোনো কোনো গন্তব্যের টিকেট সম্পূর্ণ বিক্রি হয়ে গেছে।

এদিকে, যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে যেসব রাশিয়ান দেশ ছাড়ছেন তাদেরকে জার্মানিতে স্বাগত জানিয়েছেন জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তবে লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া এবং চেক রিপাবলিক ভিন্ন কথা বলছে। তারা জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের তারা আশ্রয় দেবে না।

ক্রেমলিন জানিয়েছে, যাদের সামরিক প্রশিক্ষণ আছে এবং যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা আছে তাদেরকেই রিজার্ভ সৈন্য হিসেবে ডাকা হবে।

রাশিয়ার কাছ থেকে প্রায় ছয় হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা ইউক্রেন পুনরায় দখল করে নেবার দুই সপ্তাহের মধ্যেই রাশিয়ার তরফ থেকে রিজার্ভ সৈন্য সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হলো।

রিজার্ভ সৈন্য তলব করার পর রাশিয়ায় বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভের দায়ে পুলিশ এক হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে।

image_pdfimage_print