যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক অস্ত্র কোম্পানির ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা

তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের দুই বৃহৎ অস্ত্র নির্মাণকারী কোম্পানি রেইথন ও বোয়িংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেইজিং। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং শুক্রবার এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

মাও নিং বলেন, চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষার জন্য রেথিয়ন টেকনোলজিসের চেয়ারম্যান, সিইও হেইস, বোয়িং ডিফেন্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ক্যালবার্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির সাথে জড়িত থাকার দায়ে কোম্পানিগুলোর এ উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে ১১০ দশমিক ছয় কোটি মার্কিন ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা ঘোষণা করে।

এর প্রতিক্রিয়া চীন বলেছে, মার্কিন সিদ্ধান্ত তার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার স্বার্থকে নষ্ট করেছে। চীন এর বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সেসময় ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, সম্ভাব্য এই অস্ত্র বিক্রয় ‘চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এবং তাইওয়ান প্রণালির শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ঘোরতরভাবে বিপদগ্রস্ত করে।’

হোয়াইট হাউজের দাবি, তাইয়াওনের আশেপাশে সামরিক বিমান ও জাহাজের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির মাধ্যমে তাইওয়ানের ওপর চাপ বৃদ্ধি করছে চীন। এর মাধ্যমে চীন তাইওয়ান প্রণালিতে স্ট্যাটাস কুও পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় আত্মরক্ষার্থে তাইওয়ানের যা প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্র তা সরবরাহ করছে।

তবে পেন্টাগনের দাবি, নতুন এই অস্ত্র সরবরাহ ওই অঞ্চলের প্রাথমিক সামরিক ভারসাম্যকে নষ্ট করবে না। এটি তাইওয়ানের সামরিক সক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে না, কেবল বর্তমান সক্ষমতাকে বজায় রাখবে।

সবশেষ মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি’র তাইওয়ান সফর নিয়ে নতুন করে দ্বন্দ্বে জড়ায় চীন-যুক্তরাষ্ট্র। এরইমধ্যে তাইওয়ানকে ঘিরে ওই অঞ্চলে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন।

image_pdfimage_print