আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। রাত আটটায় দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে বিশ্ব ক্রিকেটের দুই চিরশক্রু ভারত-পাকিস্তান।
গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। এবারও ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট সংস্করণে দুই দলের দ্বৈরথের অপেক্ষায় বিশ্বের ১০০ কোটি মানুষ।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের লড়াই দেখার জন্য সারাবছর অপেক্ষায় থাকে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে আবারও সেই মহারণ।
দুই দলই পূর্ণ শক্তি নিয়ে এসেছে মরুর বুকে নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিতে। এই লড়াইয়ে কে জিতবে তা নিয়ে চলছে চরম উত্তেজনা। এই ম্যাচে পরিস্কার কোন ফেবারিট নেই।
এশিয়া কাপে এই পর্যন্ত ১৫ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। আটবার ভারত এবং পাঁচবার পাকিস্তান জিতেছে, দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে ভারত ৫ উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তানকে। আর গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তান।
চলমান এশিয়া কাপে পাকিস্তান কিছুটা পিছিয়ে আছে পেসারদের চোটের কারণে। তারপরও দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই বলে কথা।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভারত দারুণ ফর্মে। গত বিশ্বকাপের পর থেকে সাতটি সিরিজ খেলে অপরাজিত তারা। এর মধ্যে ছয়টিতেই তারা জিতেছে।
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম বলেন, শাহিন আমাদের সেরা বোলার। সে বোলিং বিভাগের নেতৃত্ব দেয়, অবশ্যই তার অভাব অনুভব করব আমরা। শাহিন থাকলে অন্যরকম খেলা হতো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তাপ নেই দলে। আমার কাছে সব ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেরাটাই দেব মাঠে। আজ নতুন দিন।
অন্যদিকে ভারতের রোহিত শর্মা বলেছেন, দুই দলেরই শক্তি কমেছে, বুমরা ও আফ্রিদি না থাকায়। আমি বিশ্বাস করি বাকিরা নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পাবে।
তিনি আশা করেন, ম্যাচটি ভালো হবে। আমরা নিজেদের মধ্যে পাকিস্তানের কাছে আগের হার নিয়ে আলোচনা করেছি। ভুল সংশোধনোর চেষ্টা করছি। নতুনভাবে শুরু করছি আমরা।
এদিকে, পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সুসংবাদ পেল ভারতীয় দল। করোনা নেগেটিভ হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নিয়মিত কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
ভারত-পাকিস্তান আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের দু’জন- মাসুদুর রহমান মুকুল ও গাজী আশরাফুল আফসার। এশিয়া কাপ তারা প্রথমবার কোন ম্যাচ পরিচালনা করছেন।