ফরিদপুরে সাংবাদিক নির্যাতন

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিক মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি জাপান মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বুধবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ‘আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান অভিযুক্ত জাপান মোল্লাকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

সোমবার (১ আগস্ট) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা টাইমসের নিজস্ব প্রতিবেদক ও আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা।

এই ঘটনায় মঙ্গলবার স্থানীয় থানায় একটি মামলা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ পারুল বেগম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে মারধরের শিকার হন সাংবাদিক মুজাহিদ। তাকে মারধরের ঘটনায় জাপান মোল্লা ও তার চার-পাঁচজন সহযোগী জড়িত ছিলেন।

ঘটনার সময় মুজাহিদকে লোহার রড, স্ট্যাম্প, দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে পেটানো হয়। এসময় স্থানীয়রা মুজাহিদকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তাদের ওপর চড়াও হয় দুর্বৃত্তরা। এতে বেশ ক’জন আহত হন।

সূত্র বলছে, আলফাডাঙ্গার রাজধানী পরিবহনের কাউন্টারে টিকেট কিনতে যান রমিজ নামের এক যুবক। তিনি ঢাকার একটি টিকেটের দাম পরিশোধ করে বাসে ওঠেন। বাস ছাড়ার আগ মূহুর্তে ‘ক্যাশ কাউন্টার’ থেকে বলা হয় রমিজ টিকিটের টাকা দেননি। তাই তাকে ঢাকায় যেতে দেওয়া হবে না।

বিষয়টি জানিয়ে নাঈমের সহযোগিতা চান রমিজ। ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টির মীমাংসা করার কথা বলতেই সাংবাদিক মুজাহিদের ওপর চড়াও হয় কাউন্টারের ম্যানেজার জাপান ও তার সহযোগীরা। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মুজাহিদকে বেধড়ক পেটানো হয়। মুজাহিদকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল প্রেরণ করা হয়।

image_pdfimage_print