বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানব পাচারকারীরাও এর সুবিধা নিচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীরা মানব পাচার করায় অনেক ক্ষেত্রে তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। পাচার চক্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। মানব পাচার প্রতিরোধ নিয়ে শনিবার আয়োজিত জাতীয় পরামর্শ সভায় এসব কথা বলেছেন বিশিষ্টজন।
‘কমব্যাটিং হিউম্যান ট্রাফিকিং ইন দ্য কনটেপট অব টেকনোলজি ইউজ অ্যান্ড ইটস অ্যাবিউজ’ শীর্ষক পরামর্শ সভা যৌথভাবে আয়োজন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইউএন নেটওয়ার্ক অন মাইগ্রেশন।
বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি মানব পাচারের ঝুঁঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীরা কার্যক্রম জোরদার করছে। লোকদের আকৃষ্ট করা, শোষণ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য তারা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের নানা টুল ব্যবহার করছে। তবে পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রেও অনেক সম্ভাবনা তৈরি করেছে প্রযুক্তি। ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপদ ব্যবহারের ওপর সচেতনতা বাড়ালে পাচারের ঝুঁঁকি কমবে। পাচার প্রতিরোধে টেকসই প্রযুক্তিভিত্তিক সমাধানে বেসরকারি খাতের উদ্ভাবন এবং দক্ষতা কাজে লাগানো যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মানব পাচার গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন। এ বিষয়ে সরকারের নীতি জিরো টলারেন্স। সরকার এ ব্যাপারে সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব পক্ষের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকার কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।