তীব্র তাপদাহ ও দাবানলে পুড়ছে ইউরোপ। একদিকে ফ্রান্স, স্পেন ও পর্তুগালের মতো দেশগুলোতে দাবানল পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো ‘রেড অ্যালার্ট বা জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ব্রিটিশ নাগরিকদের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এবং মঙ্গলবার লন্ডন, ম্যানচেস্টার এবং ইয়র্কসহ একাধিক এলাকা জুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে।
রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ট্রেনে চলাচলের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া একাধিক স্কুল বন্ধের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসবে এবং কিছু হাসপাতালের কার্যক্রম সীমিত করা হবে। গাড়ি চালকদের সতর্ক করা হয়েছে।
ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি দেশটির স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা সংস্থাগুলোর জন্য সর্বোচ্চ স্তরের (চারটি) তাপ সতর্কতা জারি করেছে। ফিট বা সুস্থদের মধ্যেও অসুস্থতা দেখা দিতে পারে এবং মৃত্যু ঘটতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, তাপমাত্রা ২০১৯ সালের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল।
আবহাওয়া অফিসের মুখপাত্র গ্রাহাম ম্যাজ বলেছেন, সম্ভাব্যভাবে একটি অত্যন্ত গুরুতর পরিস্থিতি। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছানোর ৫০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন (টিএফএল) এর প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা অ্যান্ডি লর্ড বলেন, এমন তীব্র গরম আগামী সপ্তাহেও দেখা যেতে পারে। তাই গ্রাহকদের শুধুমাত্র অতি প্রয়োজনীয় ভ্রমণের জন্য লন্ডনের গণপরিবহন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা উচিত।
দেশটির আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে এসব প্রভাব দেখা যাচ্ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।