জরুরি পণ্য পরিবহন ছাড়া ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধের প্রস্তাব

জরুরি পণ্য পরিবহন ছাড়া ভারতের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। আজ রবিবার (২৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ভারতে করোনার নতুন রূপ শনাক্ত হওয়ায় দেশটির সঙ্গে জরুরি পণ্য পরিবহন ছাড়া সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে। গতকাল শনিবার কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটির সভায় প্রস্তাব করা হয়।

এদিকে গতকালের সভাশেষে কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ জানিয়েছিলেন, একেবারেই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতের সঙ্গে যাতায়াত বন্ধ করা দরকার। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে খুব বেশি যাতায়াত হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অবশ্যই থাকে। আমরা বর্ডারে কড়াকড়ি করতে বলছি। আসা-যাওয়া সীমিত করতে হবে। এর মানে একেবারে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ভ্রমণ করবেন না। কোনোরকম পর্যটন, বিনোদন বা সাধারণ কারণে যাতায়াত বন্ধ করা যেতে পারে।

 

তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারি, সীমিত করতে না পারি এবং কোয়ারেন্টিন করতে না পারি তাহলে এটা তো ছড়িয়ে পড়বেই।

 

এ সময় টিকার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এক লাখ ডোজ টিকা দেবে কোভ্যাক্স। একই সময়ে সেরামের ২০ লাখ ডোজ আসার কথা জানিয়েছে বেক্সিমকো। পাশাপাশি চীন থেকে ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার নেওয়া হবে। যেহেতু টিকা শেষের আগেই আমরা পাচ্ছি, তাই আশা করি কোনো সংকট হবে না।