জানা গেছে, রওশন এরশাদ বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। মূলত জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে রওশন এরশাদ কয়েক দিনের জন্য দেশে ফিরেছিলেন। তাঁকে দেশে আনতে উদ্যোগী ভূমিকা নেন জাপা থেকে বিচ্যুত ও বহিষ্কৃত কয়েকজন নেতা। তাঁদের কেউ কেউ বিদিশা সিদ্দিকের তৎপরতার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
জাপার দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল রওশন এরশাদকে দিয়ে দলের শীর্ষ নেতা জি এম কাদেরের ওপর চাপ সৃষ্টি করা, যাতে তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়। কিন্তু ২ জুলাই রওশন এরশাদের মতবিনিময় সভায় নেতারা না যাওয়াতে তাঁদের সে চেষ্টা ভেস্তে যায়।
রওশন এরশাদ শারীরিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে গুলশানে নিজ বাসায় না উঠে সরাসরি ওই এলাকার একটি হোটেলে ওঠেন। সেখান থেকেই গত ২৯ জুন তিনি হুইলচেয়ারে বসে সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন। এরপর ২ জুলাই ওই হোটেলেই দলীয় ব্যানারে নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন রওশন এরশাদ। যদিও সভায় জাপার চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ কোনো নেতাই যাননি।