সিনেমাটির নাম শুনলে অনেকেই হয়তো কিছু সময়ের জন্য চলে যান শৈশবের স্মৃতিতে। কেননা ছোটবেলা থেকে কতবার যে সিনেমাটি দেখা হয়েছে সবার, সে হিসাব দেয়াটাও ভার। স্টিফেন চৌকে মানুষ দুটি মুভির কারণে আজীবন মনে রাখবে, একটি ‘কুংফু হাসোল’ আরেকটি এ ‘শাওলিন সকার’। মজার ব্যাপারটা হলো, এ শাওলিন সকারের পরিচালক ও লিড অভিনেতা ছিলেন স্টিফেন চৌ নিজেই।
২০০২ সাল, তখন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় হয়েছিল ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। তবে এ বিশ্বকাপের উন্মাদনা অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল বিশ্বে। বিশেষ করে এশীয় দেশগুলোতে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিবেশী চীনেও এর উন্মাদনা বেশ জোরালো ছিল। সেই বিশ্বকাপের এক বছর আগে অর্থাৎ ২০০১ সালে প্রেক্ষাগৃহে এলো সিনেমা ‘শাওলিন সকার’। এ যেন দর্শকদের জন্য ছিলও বিশ্বকাপের আগে আরেকটি বিশ্বকাপ!
সিনেমায় দেখা যায়, মি. ফাঙ একজন সাবেক ফুটবলার ছিলেন। তার জীবনে প্রতারণার শিকার হয়ে নিজের সম্মান হারিয়ে ছিলেন। সেই সম্মান ফিরিয়ে আনতে ফাঙ হতাশায় ছেড়ে দেয়া এলাকার ৫ জন ফুটবল প্রতিভাবানদের নিয়ে গঠন করেন কুংফু ফুটবল দল। কিন্তু শেষ অবধি কি হয়েছিল এ দলের? তারা কি তাদের লক্ষ্যস্থলে পৌঁছাতে পেরেছিল? এসব নিয়েই এগোয় সিনেমার কাহিনী।
‘শাওলিন সকার’ মুভিটির সিনেমাটোগ্রাফি ছিলও অসাধারণ। পাশাপাশি হংকংয়ের চিরচেনা মনোমুগ্ধকর ব্যাকগ্রাউন্ড। চোখ ধাঁধানো ছিল এ মুভির ভিএফএক্স, তৎকালীন ভিএফএক্স অনুযায়ী যা অসাধারণ। হংকং এর এ স্পোর্টস কমেডি সিনেমাটির রান টাইম ছিল ১১২ মিনিট। সিনেমার বাজেট ছিল ১০ মিলিয়ন ইউএস ডলার, আর বক্স অফিসে সিনেমাটি আয় করেছিল প্রায় ৪৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার।