আ.লীগের নেতারা একেকটা ‌‘জাহাঁবাজ মিথ্যাবাদী’: মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, তাঁরা ছাড়া বন্যার্তদের পাশে আর কেউ নেই, বিএনপির নেতারা ত্রাণকাজে নেই, শুধু বক্তৃতা করছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে কী, এখনো আপনারা আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতাদের কথা বিশ্বাস করেন। তাঁদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। এঁরা প্রত্যেকে একেককটা জাহাঁবাজ মিথ্যাবাদী এবং এঁদের মতো মিথ্যা কেউ বলতে পারে না। অনর্গল মিথ্যাচার করে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর উচিত নিজে মিথ্যাচার না করে তাঁর অধস্তন যেসব মিথ্যাবাদী আছে, তাঁদের দিয়ে কথা বলানো। উনি বলে নিজেকে আরও খাটো করছেন।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করে রাতে ঢাকায় ফেরেন। তিনি বলেন, নিজের চোখে না দেখলে এই বন্যার ভয়াবহতা উপলব্ধি করা যাবে না।

বন্যাদুগর্ত এলাকা দেখতে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টারে সিলেট যাওয়ার উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, মানুষ যে কষ্টে আছে, তাঁদের বাঁচানোর ব্যবস্থা করা, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা—তার কোনো ব্যবস্থাই তারা করেনি। অথচ অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে গিয়ে ওপর দিয়ে ঘুরলেন। তিনি সার্কিট হাউসে হ্যালিপ্যাডে নেমেছেন, ১০ জন লোককে টোকেন ত্রাণ দিয়েছেন, তার পরে বলেছেন সব হয়ে যাবে।

নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গতকাল রাতে এসেছি। তখন পর্যন্ত আমি যা খবর পেয়েছি, একেবারে কিছুই হয়নি। সেনাবাহিনী নামার পরে তারা দুর্গম এলাকাগুলোতে ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। এ ছাড়া কিছু কাজ করছে এনজিওগুলো। আর সবচেয়ে বেশি কাজ করছে আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা। তারা নৌকা ভাড়া করে নিজেদের পয়সা দিয়ে ত্রাণ নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে এবং ব্যাপকহারে কাজ করছে তারা।’

বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতার জন্য সরকারকে দোষারোপ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, যে কারণের বন্যা হয়, তা নিরসনে সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বরং এটা আরও বাড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন।

হাওরে ৩৩ কিলোমিটারের সড়ককে বন্যার জন্য দায়ী করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, শুনেছি এটা রাষ্ট্রপিতর প্রাইম প্রজেক্ট, ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা। এই রাস্তা পানির প্রবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে।