ভিয়েতনামি নারিকেল বাগানে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক

ভিয়েতনামি নারিকেল বাগান করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঝিনাইদহের শতাধিক কৃষক। কৃষি বিভাগ ৩ বছরের মধ্যে ফলন আসবে- এমন আশ্বাসে দিলেও ৫ বছরেও মেলেনি ফল। লাখ লাখ টাকা খরচ করে বাগান করে কোনো ফল না আসায় গাছ কেটে ফেলেছেন অনেকেই। তবে কৃষি বিভাগের দাবি, সঠিক পরিচর্যার অভাবে গাছে ফল ধরেনি।

২০১৭ সালে বিদেশ থেকে ফিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার দেখে কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে দেড় বিঘা জমিতে ভিয়েতনামি নারিকেল গাছ রোপণ করেন শরিফুল ইসলাম। আশা ছিল ৩ বছরের মধ্যে ফলন পেলে আর বিদেশে যাবেন না। কিন্তু ৪ বছরেও ফলন না পেয়ে জীবিকার তাগিদে আবারো পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। এখনও রয়েছে তার সেই বাগান। তবে, আসেনি কোনো ফলন।

 
একইভাবে ফলন না পেয়ে গাছ কেটে ফেলেছেন একই উপজেলার শিবনগরের গ্রামের সুরত আলী। তাদের মতো শতাধিক কৃষকের একই অবস্থা। এমনকি হর্টিকালচার সেন্টারের প্রদর্শনীর গাছগুলোতেও ফল আসেনি। তাদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগ ও হর্টিকালচার সেন্টারে সহযোগিতায় চারা রোপণ করা হলেও এখন তাদের দেখা মেলে না। বাগানী বলেন, আমরা লাভের আশায় নারকেলের বাগান করেছিলাম। কিন্তু তিন বছর হয়ে গেল একটাও ফল পায়নি। প্রচুর অর্থ খরচ হয়েছে। পুরোটাই লোকসান।
 
তবে, নিয়মিত পরিচর্যার অভাবেই গাছে ফলন আসছে না বলে দাবি কৃষি বিভাগের। আজগর আলী, উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, নিয়মিত যত্ন না হওয়ায় ফলন আসছে না। প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু কৃষকরা তা করেনি।
 
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় ভিয়েতনামি নারিকেল গাছ রয়েছে প্রায় দু’হাজার একশ’।
image_pdfimage_print