কানাডার রাজধানী অটোয়ার কমিশনার পার্কে শুরু হয়েছে ৭০তম টিউলিপ উৎসব। শুক্রবার (১৩ মে) শুরু হওয়া দশ দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত। টিউলিপ উৎসব দেখতে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে ভিড় করছেন দর্শনার্থী।
প্রতি বছর মে মাসে অটোয়ার কমিশনার পার্কে টিউলিপ উৎসব হয়। বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত বৃহত্তম টিউলিপ উৎসবগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয় এটিকে। প্রতি বছর অন্তত ৬ লাখ দর্শক উপস্থিতি হয় এই উৎসবে। মনোমুগ্ধকর টিউলিপের বাগান দেখতে প্রতিদিনই দূরদুরান্ত থেকে ভিড় করছেন হাজারো মানুষ।
টিউলিপ উৎসবের উৎপত্তি একটি বড় ঐতিহাসিক ঘটনার সাথে যুক্ত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নেদারল্যান্ডসের রাজপরিবার কানাডার রাজধানী অটোয়াতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, যেখানে প্রিন্সেস মার্গ্রিয়েট ফ্রান্সিসকা ১৯৪৩ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। প্রিন্সেস মার্গ্রিয়েট রানী জুলিয়ানা এবং প্রিন্স বার্নহার্ডের তৃতীয় কন্যা।
দুই বছর পর কানাডা এবং অন্য মিত্র সেনাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৪৫ সালের ৫ মে নেদারল্যান্ডসের কাছে আত্মসমর্পণ করে নাৎসি বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে মুক্ত হয় দেশটি।
কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ১৯৪৫ সাল থেকে প্রতি বছর ডাচ সরকার কানাডায় ২০ হাজার টিউলিপ বাল্ব উপহার পাঠায়। টিউলিপের বার্ষিক উপহার কানাডা এবং নেদারল্যান্ডের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিনিধিত্ব করে।
নেদারল্যান্ডস বিশ্বের বৃহত্তম টিউলিপ উৎপাদনকারী দেশ। তারা প্রতি বছর আনুমানিক তিন বিলিয়ন টিউলিপ রফতানি করে। নেদারল্যান্ডসের রাজকুমারী মার্গারেট এই বছর কানাডার টিউলিপ ফেস্টিভ্যালে যোগ দেবেন। তিনি ১৯৪৩ সালে অটোয়াতে জন্মগ্রহণ করেন।
অটোয়া বোর্ড অফ ট্রেড বিশ্ববিখ্যাত ফটোগ্রাফার মালাক কার্শের সুপারিশে ১৯৫৩ সালে প্রথম কানাডিয়ান টিউলিপ উৎসব শুরু করে।
উৎসবে প্রায় ৩০ প্রজাতির ও বাহারি রঙের টিউলিপ প্রদর্শন করা হয়।