আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) হবে—ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হলেও এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি বলছে, ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে সন্দেহ ও অবিশ্বাস আছে, তারা আগে সেটা দূর করতে চায়। তারপর ভোটে ইভিএমের ব্যবহার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো ভোটে ইভিএমের ব্যবহারের বিরোধিতা করছে। বিএনপি একে ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোট চুরির যন্ত্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছে। তারা বলছে, প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে এটা করা সম্ভব যে, যেখানেই ভোট দেওয়া হোক, নির্দিষ্ট প্রতীকেই ভোট পড়বে। ভোট কোন প্রতীকে পড়েছে, তার কোনো কাগজের প্রমাণও থাকে না। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর বিএনপি নেতা তৈমুর আলম (স্বতন্ত্র প্রার্থী) অভিযোগ করেছিলেন, ইভিএম কারসাজিতে তিনি হেরেছেন।
তবে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান প্রথম আলোকে বলেন, ইভিএমে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও ত্রুটিমুক্ত। রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জনে ইসি সচেষ্ট। ইসি ইভিএম–সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বসবে। তা ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ইভিএম দেখার আমন্ত্রণ জানানো হবে। তিনি বলেন, এখন কমবেশি ১০০ আসনে ভোট গ্রহণের মতো ইভিএম ইসির হাতে আছে। আরও অধিক আসনে ইভিএম ব্যবহরের বিষয়ে কমিশন বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।