দুই বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সেই দলের অন্যতম সদস্য শরীফুল ইসলাম এখন জাতীয় দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। দুই বছর পর ইতিহাস গড়ার সেই দেশে গিয়ে দারুণ অনুভব করছেন তরুণ পেসার শরীফুল। একই সঙ্গে সদ্য নিযুক্ত পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের সান্নিধ্য তাকে উচ্ছ্বসিত করেছে।
বিশ্বকাপ জয়ের পর দুই বছরেই জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠেছেন শরীফুল। মুস্তাফিজের পর তাকেই ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় পেসার হিসেবে দেখা হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে নিজের অনুভূতি নিয়ে বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় শরীফুল বলেন, ‘অবশ্যই ভালো লাগছে। যখন শুনেছি দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের সিরিজ আছে, তখনই মনে হয়েছে ওখানে আমরা একটা বিশ্বকাপ জিতেছি। খুব ভালো লাগছিল। এর আগে কোনো অনূর্ধ্ব-১৯ দল এটা করেনি। ‘
দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট পেসারদের স্বর্গ বলে শরীফুল আরো আনন্দিত। তবে সতর্কও করেছেন এই পেসার, ‘এখানে প্র্যাকটিস করে ভালোই লাগছে। এখানে পেস বোলারদের বল ক্যারি করে। দক্ষিণ আফ্রিকায় পেস বোলাররা সব সময় বাড়তি সুবিধা পায়। তাই এখানে প্র্যাকটিস করে ভালো লাগছে। উইকেটে ঘাস ছিল। … তবে যদি ডিসিপ্লিন না থাকে, এক্সট্রা রান চলে যাবে। আমরা চেষ্টা করব নরমাল বেসিক পরিকল্পনায় বল করার। বাদবাকিটা দেখা যাক কী হয়। ‘
দক্ষিণ আফ্রিকার পেস কিংবদন্তি অ্যালান ডোনাল্ড এখন শরীফুলদের বোলিং কোচ। কিংবদন্তি এই পেসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে শরীফুল বলেন, ‘হ্যাঁ, ব্রেকফাস্টের সময় তার সঙ্গে কথা হয়েছে। সে আমাকে চিনতে পেরেছে। যখন মাঠে এসেছিল অনুশীলনে, তখন সে আমাকে রিস্ট পজিশন নিয়ে কাজ করিয়েছে। চেষ্টা করেছি। কিছুদিনের মধ্যে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। আশা করি ভালো কিছু নিতে পারব তার কাছ থেকে। ‘
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কোনো ফরম্যাটেই একটাও জয় পায়নি বাংলাদেশ। তবে পরিস্থিতি এখন বদলেছে। বাংলাদেশের ওয়ানডে দল এখন বেশ শক্তিশালী। সদ্যই আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে। তাই এবার ভিন্ন কিছুর আশা করছেন শরীফুল, ‘অবশ্যই দল নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। দলে অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব ক্ষেত্রেই দল ভালো করছে। আমরা যদি দল হিসেবে ভালো খেলতে পারি, তাহলে এখান থেকে ভালো কিছু নিয়ে যেতে পারব। ‘