ক্রিকেট যত আধুনিক হচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্রিকেট জুয়ার সংজ্ঞা। আর আধুনিক জুয়াকে ঠেকাতে ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি-র। জুয়ার বিষয়ে সংস্থাটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে যতটা না চিন্তিত, তার থেকে অনেক বেশি চিন্তিত সারা বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলি নিয়ে। কারণ সেখানে নজরদারির পরিমাণ কম।
জুয়ার বিষয়ে আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, ‘‘এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আর ম্যাচের ফল নিয়ে জুয়া হয় না। টস, বা নো বল নিয়েও জুয়া হয় না। এখন জুয়া হয় দু’ ওভার, খুব বেশি হলে চার ওভার নিয়ে। ম্যাচের ছোট ছোট অংশ নিয়ে জুয়া হয়।’’
মার্শাল বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে আমাদের আর খুব একটা চিন্তা নেই। ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে আমাদের দুর্নীতি দমন শাখা খুব ভাল কাজ করছে। আসল সমস্যা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট নিয়ে। গত দু’ বছরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট নিয়ে আমাদের যা অভিজ্ঞতা, তাতে দেখেছি জুয়াড়িরা দলের মধ্যে ঢুকে পড়ে পিছন থেকে কাজ করে। কিছু হলে মালিকের নাম সামনে চলে আসে।’’
মার্শালের বড় চিন্তা ইউরোপ নিয়ে। তার মতে, ‘‘এখন আন্তর্জাতিক জুয়াড়িরা ইউরোপের লিগে টাকা ঢালছে। মূলত যাঁরা শরণার্থী, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী, তাদের ধরার চেষ্টা করছে জুয়াড়িরা। এদের তিন হাজার ইউরো করে ধরিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে খারাপ খেলতে।’’
টোপ দেওয়ার ক্ষেত্রে জুয়াড়িদের কাকে পছন্দ, এই নিয়ে মার্শাল বলেন, ‘‘এমনিতে জুয়াড়িরা অধিনায়ককে টোপ দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর তাদের নজরে থাকে ওপেনিং ব্যাটসম্যান, ওপেনিং বোলারদের ওপর। এর সহজ কারণ, এরাই খেলাটাকে নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু জুয়াড়িরা বুঝে গিয়েছে, এই ধরনের ক্রিকেটাররা কিছু হলেই আইসিসি-কে জানাবে। তাই এখন জুয়া হয় টিম ম্যানেজার বা প্রাক্তন ক্রিকেটারের মাধ্যমে। গত শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে আমরা দেখেছি, একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার জড়িয়ে পড়েছিলেন। গোটা ব্যাপারটাই হয়েছিল তার মাধ্যমে।’’