তুলনামূলক কম দামের জন্য প্রোটিন ও প্রাণীজ আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস ফার্মের ডিম ও ব্রয়লার মুরগি ছিল স্বল্প আয়ের মানুষের পছন্দের শীর্ষে। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে এ দুটি পণ্যের দাম বাড়ছেই। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। আর ফার্মের লাল ডিমের হালিতে বেড়েছে দুই টাকা।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মালিবাগ, কাওরানবাজার ও তুরাগ এলাকার নতুন বাজারে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা যায়। তবে শুধু এ দুটি পণ্যই নয়, গত এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে এমন পণ্যের তালিকায় আরও রয়েছে, সয়াবিন তেল, পামঅয়েল ও দেশি পেঁয়াজ। আর দাম কমেছে চিনি ও সরু চালের।
এদিকে সরকার সম্প্রতি সয়াবিন তেল ও পামঅয়েলের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও তা মানছেন না ব্যবসায়ীরা। গতকাল খুচরা বাজারে সয়াবিন তেল ও পামঅয়েলের দাম আরেক দফা বেড়েছে। গতকাল বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৩০ থেকে ১৩৬ টাকা, খোলা পামঅয়েল ১২০ থেকে ১২৬ টাকা ও পামসুপার ১২৭ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু গত সপ্তাহে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে খোলা সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১২৯ টাকা, পামসুপারের দাম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
সরকারের বিপণন সংস্থা টিসিবির হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি লিটার সয়াবিন ও পামঅয়েলে ৭ টাকা বেড়েছে।
দাম বেড়েছে দেশি পেঁয়াজেরও। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে চিনি ও সরু চালের। প্রতি কেজিতে তিন টাকা কমে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। আর সরু চালের দাম কেজিতে এক টাকা কমে মানভেদে নাজিরশাইল/মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়। অন্যান্য চালের মধ্যে মাঝারি মানের চাল পাইজাম/লতা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ও মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।