করোনা মহামারির কারণে ভিসা নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছিলো? আমি কিন্তু নিশ্চিত ছিলাম আপনারা ভিসা পাবেন। অফিসিয়াল সিলেকশন বলে কথা! আয়োজকরা যেভাবেই হোক আপনাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাইবে।
আজ দুপুরে আজমেরী হক বাঁধনকে কথাগুলো বলতেই তার মুখ থেকে বেরিয়ে এলো, ‘কিছুটা উৎকণ্ঠা তো ছিলোই। আলহামদুলিল্লাহ সবাই আসতে পেরেছি। সত্যি বলতে এটা একটা ঐতিহাসিক সফর।’
ক’দিন পরেই কানের লালগালিচায় পা মাড়িয়ে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়বেন বাঁধন। আয়োজকদের অফিসিয়াল আমন্ত্রণ পাওয়া বাংলাদেশের প্রথম কোনো অভিনেত্রী এই সম্মান অর্জন করতে যাচ্ছেন। আপাতত ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের মূল কেন্দ্র থেকে একটু দূরে একটি অ্যাপার্টমেন্টে কোয়ারেন্টিনে আছেন বাঁধনসহ সাতজন। কান থেকে ফোনে কথা হলো তার সঙ্গে।হোটেলে না উঠে অ্যাপার্টমেন্টে উঠেছেন কেনো?
বাঁধন: হোটেলে উঠলে একটা রুমের মধ্যে বন্দি থাকতে হতো। তাতে করে সবার মধ্যে বিরক্তি এসে যেতে পারতো। এ কারণে আমরা হোটেলে যাইনি। এমনিতে সাদের ওপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে। পোস্ট প্রোডাকশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে গত কিছুদিন ছবিটির শেষ পর্যায়ের কাজে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। এখন সবাই একটু আয়েশ করছেন।
অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজে বের করেছেন কে?
বাঁধন: সাদ বাসাটা খুঁজে বের করেছে, যাতে আমরা একটু আরামে থাকতে পারি। কারণ ভিসা হাতে পেয়ে তড়িঘড়ি ব্যাগ গোছানোসহ সারাটা পথ আমাদের ওপর দিয়ে যা ধকল গেছে তাতে এরপর আর বলার কিছু নাই! এয়ার বিএনবি অ্যাপের মাধ্যমে বাসাটা ভাড়া নিয়েছি। আমরা যেন নিজেরা একসঙ্গে রান্না করে খেতে পারি সেটাও অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেওয়ার আরেকটা কারণ।আপনারা সাতজনই কোয়ারেন্টিনে। রান্নার উপকরণ কে এনে দিচ্ছে?
বাঁধন: ঢাকা থেকেই আমরা খাবারের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি। তাছাড়া এখানকার সুপারশপ থেকে বাকি যা যা লাগবে সব অর্ডার দিয়ে এনেছি। প্যারিসে আমার এক বন্ধু আছে, ও অনলাইনে অর্ডার করে দিলো।
অ্যাপার্টমেন্টের পরিবেশ কেমন লাগছে?
বাঁধন: জায়গাটা বেশ নিরিবিলি। মনোরম পরিবেশে সময় কাটছে আমাদের। চারদিকে গাছগাছালি। বাসার আঙিনাটা সুন্দর। আমরা সবাই মিলে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবির দৃশ্যধারণের দিনগুলোর গল্প করছি। আর বাকি যারা আসতে পারেনি তাদের শূন্যতা অনুভব কর
Posted by Azmeri Haque on Saturday, June 26, 2021
ছেলেরা কি রান্না করছে? নাকি আপনি একাই?
বাঁধন: আমার খুব ভালো লাগছে যে, একদল দারুণ তরুণের সঙ্গে আছি। তারা সবাই খুব ভালো। কারণ আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সব গোছানো। এমনিতে তো ছেলেদের একটু অগোছালো ব্যাপার থাকে ঘরের ভেতর। কিন্তু সবাই সবকিছু গুছিয়ে রাখছে, রান্নাবান্নার কাজ শেষে পরিষ্কার করছে। সবাই একে অপরকে সহযোগিতা করছে। সত্যি বলতে আমরা একটা পরিবারের মতো। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো। কারণ ছবির চিত্রায়নের সময় আমরা একসঙ্গে অনেকদিন পেরিয়ে এসেছি। আমাদের আশা, কোয়ারেন্টিনের ১০ দিন দারুণ কাটবে।
কোয়ারেন্টিন শেষে ৫ জুলাই কানে যাবেন জানি। প্রিমিয়ারের কথা ভাবলে কেমন লাগছে?
বাঁধন: কানের অফিসিয়াল সিলেকশনে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের দিনটি হবে মেয়ের জন্মের পর আমার জীবনের দ্বিতীয় স্মরণীয় দিন। উৎসবেই প্রথমবার পুরো ছবিটা দেখবো। আঁ সার্তে রিগার বিচারকরাসহ বিখ্যাত মানুষেরা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ দেখে কী বলবেন তা ভেবে আমি নার্ভাস! তারা এই ছবি দিয়ে বাংলাদেশকে চিনবে। আমরা পুরো দেশকে বুকে ধারণ করে নিয়ে এসেছি। ইনশাল্লাহ আরও ভালো কিছু নিয়ে দেশে ফিরবো।