চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে হওয়া সামরিক অভ্যুত্থানের বিষয়ে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আজ সোমবার আট ব্যক্তি, তিন অর্থনৈতিক সংস্থা ও দেশটির যুদ্ধ ভেটেরান্স অর্গানাইজেশনের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযোগ করা হয়েছে। ইইউয়ের প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপগুলো মূলত বড় আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে নেওয়া হয়।
নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তিরা হলেন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল, যারা গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনকে ক্ষুণ্ন করার জন্য এবং দেশে মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী। বাকি চারটি সংস্থা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বা মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনী (তাতমাডাও) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তারা সামরিক বাহিনীর আয় বা কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অবদান রাখছে।
এই পদক্ষেপগুলো মিয়ানমারের প্রাকৃতিক সম্পদ রত্ন ও কাঠ খাতকে লক্ষ্য করে নেওয়া হয়েছে। এগুলো থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে জান্তা সরকারকে সীমাবদ্ধ করার লক্ষ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যাতে মিয়ানমারের জনগণ অযাচিত ক্ষতি এড়াতে পারে। তালিকাভুক্ত ব্যক্তিরা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবেন। তাদের ইইউ অঞ্চলে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্বে দেওয়া বিধি-নিষেধমূলক পদক্ষেপগুলোও বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এর আওতায় রয়েছে অস্ত্র ও সরঞ্জামের ওপর নিষেধাজ্ঞা, যা অভ্যন্তরীণ দমন-পীড়নের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। সামরিক ও সীমান্তরক্ষী পুলিশের ব্যবহারের জন্য দ্বৈত-ব্যবহার সামগ্রীর ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা। অভ্যন্তরীণ দমনে ব্যবহারের জন্য যোগাযোগের ওপর নজরদারি করার সরঞ্জামগুলোতে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা এবং তাতমাডোর সঙ্গে সামরিক প্রশিক্ষণ এবং সামরিক সহযোগিতা নিষিদ্ধকরণ।
এই নিষেধাজ্ঞাগুলো সরাসরি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তা রোধ করার পাশাপাশি দেশটির সরকারকে সহযোগিতাও বন্ধ করবে। এ ছাড়া জান্তা সরকারকে অবৈধ হিসাবে দেখা হবে। নিষেধাজ্ঞায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সত্তার নামসহ প্রাসঙ্গিক আইনি আদেশটি ইউনিয়নের অফিসিয়াল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।