ছুটি না নিয়ে পালিয়ে কুষ্টিয়ায় গিয়েছিলেন এএসআই সৌমেন।

রোববার সকাল ১১টায় কর্মব্যস্ত সময়ের মাঝে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড়ে হঠাৎ গুলির শব্দ। দুপুরে নৃশংসভাবে শিশুসহ তিনজনকে সরকারি পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত  ছিলেন সৌমেন পুলিশের এএসআই।

পিটিআই রোড থেকে এক শিশু দৌড়ে কাস্টমস মোড়ের দিকে আসে। তার পেছনে এএসআই সৌমেন দৌড়ে গিয়ে নিজের সরকারী পিস্তল দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে রাস্তায় পড়ে  যায় শিশুটি। কিছু সময় পরই ঐ গলির ভেতর থেকে এক নারীর চিৎকার ভেসে আসে। সাথে আরও কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়।

ঘটনার পরই স্থানীয়রা ছুটে আসে , বাঁচানোর চেষ্টা করে। একই সাথে আটক করে অভিযুক্তকে এএসআই সৌমেনকে।

খবর পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে স্থানীয় জনতাকে সরিয়ে দেয়। একই সাথে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে হাসপাতালে পাঠায়। কিছু সময় পর জানা যায়, তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

পুলিশ বলছে, হত্যার কারণ পরকীয়া। নিহত আসমা সৌমেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। আর শিশুটি আসমার প্রথম পক্ষের সন্তান। অন্যদিকে নিহত অপর যুবক শাকিল আসমার পরিচিত। তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী।

হামলাকারী এএসআই খুলনা ফুলতলা থানায় কর্মরত। তিনি বিনা ছুটিতে কুষ্টিয়ায় অবস্থান করছিলেন। খুলনা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।