তৎপরতার পরও ভোটার উপস্থিতি ছিল কম

নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকেই খুলনা-২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা) আসনের কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিভিন্নভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল দলীয় নেতাকর্মী, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, সরকারের সুবিধাভোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ভোটারদের। কিন্তু সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পরও ভোটার উপস্থিতি ছিল ৩৫ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, যা খুলনার অন্য পাঁচটি আসনের তুলনায় কম।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে অসন্তুষ্টি রয়ে গেছে। তারা মনে করেন, এ আসনে এত কম ভোটারের উপস্থিতি কাম্য ছিল না। দলের পক্ষ থেকে কম ভোটার উপস্থিতির কারণ বিশ্লেষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নেতারা।

এবারের নির্বাচনে খুলনার ৬টি আসনে গড় ভোট প্রদানের হার ৪৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এর মধ্যে খুলনা-১ আসনে ৫৪ দশমিক ২২ শতাংশ, খুলনা-২ আসনে ৩৫ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, খুলনা-৩ আসনে ৪৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, খুলনা-৪ আসনে ৪৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ, খুলনা-৫ আসনে ৫৫ শতাংশ ও খুলনা-৬ আসনে ৪০ দশমিক ২২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। অথচ মাত্র ৬ মাস আগে গত ১২ জুন খুলনা-২ ও ৩ সংসদীয় এলাকা নিয়ে গঠিত খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪৮ শতাংশ।

খুলনা-২ আসনে সাত প্রার্থীর মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল। অন্য ৬ দুর্বল প্রার্থীই মোট প্রাপ্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগেরও কম ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।