রাজারহাট, কুড়িগ্রাম সদর ও ফুলবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম-২ আসনে জোট শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সমর্থনে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা ডা. হামিদুল হক খন্দকার। এতে এই আসনে ভোটের হিসাব জটিল হয়ে উঠেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো কুড়িগ্রাম-২ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন জাফর আলী। কিন্তু আগের তিনবারের মতো এবারও তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আসন ভাগাভাগিতে এখানে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য পনির উদ্দিনকে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
কুড়িগ্রাম-২ আসনটি জাতীয় পার্টির দুর্গ বলে খ্যাত। ১৯৮৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা আটবার কুড়িগ্রাম-২ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে ডা. হামিদুল হক খন্দকার, ঈগল প্রতীকে নাজমুল হুদা ও কাঁচি প্রতীকে আবু সুফিয়ান অংশ নিচ্ছেন। এ ছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টির আবদুল কুদ্দুস হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে, এনপিপির আবদুস ছালাম আম প্রতীকে এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মকবুল হোসেন ডাব প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে হামিদুল হক খন্দকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর কেউ লাঙ্গল ও কেউ ট্রাক প্রতীকে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন।
জানা গেছে, ট্রাক প্রতীকের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছেন রাজারহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু নুর মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। অপরদিকে লাঙ্গলের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পীসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কুড়িগ্রাম সদর ও ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগে একই অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল বলেন, নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নির্দেশনার বাইরে কারও পক্ষে কাজ করার সুযোগ নেই।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই আসনটি জাতীয় পার্টির দুর্গ। তিনি আবারও বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদী।
আওয়ামী লীগ নেতা ডা. হামিদুল হক খন্দকারের ব্যক্তিগত নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া না দেওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।