গণগ্রেপ্তার এড়াতে ‘আত্মগোপনে’ থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছেন। দ্বাদশ নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজপথে নেতাকর্মীর উপস্থিতি বাড়ছে। আন্দোলনের কর্মসূচিতে হাজির হচ্ছেন অনেকে। আবার মিছিল-সমাবেশের আয়োজন করছেন নিজ উদ্যোগে। কেন্দ্রের ‘কঠোর বার্তায়’ পদপদবি হারানোর ভয়েও ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামছেন তারা। ৩১ ডিসেম্বর থেকে একযোগে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত সমন্বয় করছেন দলটির নেতারা। সতর্ক করা হয়েছে নিষ্ক্রিয় চার শতাধিক নেতাকে। এ পরিস্থিতিতে আগামীতে রাজপথে নেতাকর্মীর উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। তারা বলছেন, নির্বাচনের আগের সাত দিনে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়েই কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সমকালকে বলেন, শুধু নেতাকর্মী নয়, সাধারণ মানুষের পিঠও দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখান থেকে বাঁচার জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছেন তারা। এবারের লড়াইয়ে গণতন্ত্রকামী জনগণ, অধিকারহীন সাধারণ মানুষ পরাজিত হলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। তাই চূড়ান্ত লড়াইয়ের অংশ হিসেবে সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে আসছেন। মরণপণ লড়াইয়ের জন্য তারা মাঠে নামছেন। এর ধারাবাহিকতায় সামনে মুক্তির মিছিলে জনস্রোত দেখা যাবে রাজপথে।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা বছরের পর বছর ঘরছাড়া। তাদের অবস্থান হয় কারাগার, নয়তো ভাসমান কিংবা বনে-জঙ্গলে। এভাবে আর কতদিন! ঘরে থাকলেও কেউ নিরাপদ নয়। এমনকি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় নেতাকর্মীর আত্মীয়স্বজনকেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। সবার ব্যক্তিজীবন, কর্মজীবন, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক মর্যাদাও ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। এর থেকে মুক্তি পেতে সবাই মাঠে নামছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর নাশকতার দায়ে গণগ্রেপ্তার শুরু হয়। এরপর রাজপথে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর আন্দোলন শুরু হলেও গ্রেপ্তার এড়াতে দলটির অধিকাংশ সক্রিয় নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যান। বেশির ভাগ নেতাকর্মী ওই অবস্থা থেকেই আন্দোলনে নিজেদের সম্পৃক্ত রেখে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছেন। তবে একটি অংশ একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আন্দোলনে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না দীর্ঘদিন। এমনকি যারা সক্রিয় রয়েছেন, তাদের পাশেও থাকেননি বিগত দিনে। সে রকম চার শতাধিক নেতাকে চিহ্নিত করে দল থেকে ভর্ৎসনা এবং কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। আগামীতে এ রকম গাফিলতি দেখা গেলে কিংবা নিষ্ক্রিয় থাকলে পদপদবিতে টান দেওয়াসহ কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। নিষ্ক্রিয় নেতাদের মধ্যে যারা বিগত দিনে কমিটি বাণিজ্য করে সংগঠনকে দুর্বল করেছেন, কুক্ষিগত করতে গিয়ে ত্যাগী আর যোগ্যদের বাদ দিয়েছেন, তাদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামীতে তাদের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
বিএনপি নেতারা জানান, আন্দোলনকে গুরুত্ব দিয়ে দলের হাইকমান্ডের এমন কঠোর মনোভাবে রাজপথের চিত্র অনেকটা পাল্টে যেতে শুরু করেছে। অনেকেই এখন সক্রিয় হয়ে উঠছেন। মিছিল-সমাবেশে অংশগ্রহণ করছেন। নির্বাচনের আগের সাত দিনে এ চিত্র আরও পাল্টে যাবে বলে বিশ্বাস করছেন দলের হাইকমান্ড। আগামী দিনে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে মাঠে নামার সব রকম প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। এ জন্য দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। বিভাগীয় টিম গঠনের পাশাপাশি জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীর ভূমিকা সম্পর্কে দলের হাইকমান্ডকে অবহিত করতে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। দল সমর্থিত অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত ওই টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে বলেও জানা গেছে।
দলটির নেতাকর্মীরা জানান, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযানে তারা অনেকটা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। সে অবস্থার মধ্যেও তিন অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল, যুবদল আর স্বেচ্ছাসেবক দলের ওপর ভর করে এতদিন আন্দোলন টেনে আনেন দলটির নীতিনির্ধারক নেতারা। সেখানে মূল বিএনপির দায়িত্বশীল অনেক নেতার ভূমিকা ছিল হতাশাজনক। পুরো আন্দোলনে তাদের অনেককেই খুঁজে পাননি তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আবার ওই তিন সংগঠনের জেলা, মহানগর এমনকি থানা, ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠনে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের পছন্দকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে বেশির ভাগ জায়গায় ত্যাগী ও যোগ্যদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
নেতারা আরও জানান, বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় নেতাদের পছন্দের পকেট কমিটি গঠন করায় আন্দোলনের মাঠে তাদের সক্রিয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটিকে। তৃণমূল পর্যায়ের ওইসব কমিটির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা মূল বিএনপি মাঠে না থাকায় অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও মাঠে নামেননি। দলের হাইকমান্ডের কাছে এর পুরো চিত্র তুলে ধরা হয়। এর পরপরই তিনি মূল দলের নেতাদের সক্রিয় করতে উদ্যোগ নেন। তাদের সঙ্গে ধারাবাহিক স্কাইপি বৈঠকে সতর্ক করেন, উৎসাহ দেন। আর এটাকেই টনিক হিসেবে দেখছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান জানান, শুধু অঙ্গসংগঠন নয়, মূল দলের কমিটি গঠনেও বিগত দিনে অনেক অনিয়ম হয়েছে। বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে নেতা বানাতে গিয়ে দলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সেসব বিষয় এখন সামনে চলে এসেছে। দলের হাইকমান্ডের কাছে এখন ওইসব সাংগঠনিক কিংবা সহসাংগঠনিক সম্পাদকদেরও কৈফিয়তের আওতায় আনা হয়েছে। আগামীতে তাদের সব আমলনামা দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, সরকারের এত নির্যাতনের মধ্যেও এই বিভাগে প্রতিদিন অন্তত ১৫ থেকে ২০টি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জেলার নেতাকর্মীরা সক্রিয় রয়েছেন। নির্যাতিত নেতাকর্মীর পাশে তিনি নিজে দাঁড়ান বলেও সমকালকে জানান।
সূত্র জানায়, শুধু সতর্ক করা নয়, অনেককে শোকজও করা হয়েছে এই কয়েক দিনে। অনেক জায়গায় নেতৃত্বের পরিবর্তন আনা হয়েছে, অনেক স্থানে মূল কমিটির সঙ্গে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিএনপি ছাড়া অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীকেও এর আওতায় আনা হয়েছে। এরই মধ্যে সারাদেশে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রায় ১৫ কমিটি রদবদল কিংবা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যুবদলেরও প্রায় ১০টি কমিটি পুনর্গঠন এবং অনেককে শোকজ করা হয়েছে; নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে বহিষ্কারও করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। ছাত্রদলের চিত্রও একই। ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি তারিকুল ইসলাম রানা এবং সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল হাসান ইফাদকে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, চলমান আন্দোলনকে টেনে নিয়ে যেতে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে ছাত্রদল, যুবদল আর স্বেচ্ছাসেবক দলকে। অন্যান্য সংগঠনকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস এখন অস্তিত্বহীন। বুদ্ধিবৃত্তিক এ সংগঠনের ভূমিকায় হতাশ দলের তৃণমূল থেকে হাইকমান্ড। আন্দোলনের মাঠে তুলনামূলক শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে স্বেচ্ছাসেবক দল।
দলীয় সূত্র জানায়, আন্দোলনে ভূমিকা না রাখার জন্য ঝালকাঠি জেলা বিএনপির দুই শীর্ষ নেতাকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ, বরিশাল উত্তর-দক্ষিণ, কুমিল্লা উত্তর-দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি, সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, গাজীপুর জেলা ও মহানগর, মুন্সীগঞ্জ, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ আরও বেশ কয়েকটি জেলার শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে এর বিভিন্ন উপজেলার নেতাকে সক্রিয় করেছেন দলের সর্বোচ্চ নেতা। আগামীতে সুদিনের জন্য তাদের মাঠে নামার তাগাদা দিয়েছেন তিনি।
নেতারা জানান, আন্দোলনে সক্রিয়তার পাশাপাশি নির্যাতিত নেতাকর্মীর পাশে থাকার নির্দেশনাও দিয়েছেন দলের হাইকমান্ড। এরই মধ্যে বেশ কিছু জায়গায় আন্দোলনের জন্য দলীয় ফান্ড থেকে দেওয়া আর্থিক সহায়তা তছরুপ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। আহত কিংবা কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীর পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে সেই অর্থ লোপাট করছেন বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের দু-একজন শীর্ষ নেতা পুরো অর্থই পকেটস্থ করেছেন বলে নেতাকর্মীরা কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ করেন। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আল ইমরান জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
নেতারা বলেন, আন্দোলনে এসব সমন্বয়হীনতা দূর করে সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্যাতিত নেতাকর্মীর পাশে দাঁড়ানোর কঠোর নির্দেশনার পাশাপাশি সবাইকে একযোগে মাঠে নামতে বলা হয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে একেবারে ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীকেও সক্রিয় ভূমিকায় দেখতে চান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। রাজপথের বাঁচা-মরার ওই লড়াইয়ের জন্য সবাইকে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপি সূত্র জানায়, প্রায় দুই মাস ধরে চলা আন্দোলনে রাজপথে নেতাকর্মীর উপস্থিতি গত ১৬ ডিসেম্বরের পর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে। গত রোববার অবরোধের সমর্থনে দেশের বিভিন্ন স্থানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। কিছু কিছু এলাকায় ব্যাপক সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে আন্দোলনের মিছিলে বড় শোডাউনও করেন অনেক নেতা।
এর মধ্যে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আন্দোলন কর্মসূচির প্রতিদিনই রাজপথে নিজের অবস্থান জানান দেন। তাঁর সঙ্গে দলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ দলের আরও অনেক কেন্দ্রীয় নেতা মিছিলে অংশ নেন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বিএনপি নেতা নাজিমউদ্দিন আলম, দলের আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, রেহানা আখতার রানু, মীর নেওয়াজ আলী, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, নুরুল ইসলাম নয়ন, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ আরও অনেক কেন্দ্রীয় নেতাকে মাঠে দেখা গেছে। এ ছাড়া নাশকতার মামলায় ‘আত্মগোপনে থাকা’ বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অন্তত ৫০ দিন পর প্রকাশ্যে এসে দলীয় কর্মসূচি পালন করেন নেতাকর্মী নিয়ে। ময়মনসিংহ উত্তর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, জামালপুর জেলা সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, মাদারীপুর জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন লাভলু, নোয়াখালী জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ আজাদ, রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও মহানগর দক্ষিণ, যুবদলের মহানগর দক্ষিণ, কক্সবাজারের মহেশখালীতে সাবেক এমপি আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ফরিদ, মৌলভীবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান) ছাড়াও রংপুরের পীরগাছা, পাবনা, চট্টগ্রামের পটিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষক দলসহ আরও বেশ কিছু মিছিলে নেতাকর্মীর ঢল নামে।