লক্ষ্মীপুরের উপ-নির্বাচনে যাচ্ছে না বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক:

বিদেশে দণ্ডিত হয়ে সংসদ সদস্য পদ হারানো কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের নির্বাচনী আসনে উপ-নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে রোববার বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।

“যেহেতু নির্বাচন কমিশন সকল প্রকার নির্বাচন পরিচালনায় অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে এবং সরকার নিলর্জ্জভাবে সকল নির্বাচনগুলোতে বেআইনি হস্তক্ষেপ করছে, সেহেতু আপাতত এই সকল নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”

একাদশ জাতীয় সংসদে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল গতবছর কুয়েতে গ্রেপ্তার হন। অর্থ ও মানবপাচারের মামলা গত ২৮ জানুয়ারি সেখানে তার চার বছরের কারাদণ্ড হলে দেশে তার এমপি পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ১১ এপ্রিল এখানে নির্বাচন হবে। এরপর ১১ এপ্রিল ভোটের দিন রেখে রায়পুর এবং সদর উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে ওই আসনের উপ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নকে মনোনায়ন দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে গত শনিবার রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল  বৈঠকে ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান,নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে।

ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত রোববার রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে গণমাধ্যমকে জানানো হয়। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি সেলিমা রহমানের আশু রোগমুক্তি কামনায় সবাইকে দোয়া করার অনুরোধ জানানো হয়।