লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

আমজাদ হোসেন আমু

লুটের মামলায় লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। রবিবার (৫ জুলাই) বিকেলে সদর উপজেলার নন্দনপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে এবং তার ভাই জোবায়েরকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

মাহবুব ইমতিয়াজ

জানা যায়, জমি বিরোধের জেরে পারিবারিকভাবে চাচা-চাচীকে মারধর করে টাকা, পাসপোর্ট, মোবাইল লুটের ঘটনায় সদর থানায় শিমু আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মাহবুব ইমতিয়াজ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। একই মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম ও লক্ষ্মীপুর পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ছগিরসহ আরও ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ইমতিয়াজদের সঙ্গে তার চাচা জামাল উদ্দিনের জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। তারা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর এলাকার বাসিন্দা। এর জের ধরে ২০১৯ সালের ৪ অক্টোবর ইমতিয়াজ ও তার পরিবারের লোকজন জামাল ও তার স্ত্রী শিমু আক্তারকে পিটিয়ে মাথায় জখম করে।

এ ঘটনায় জামালের মা সাদিয়া বেগম বাদী হয়ে ইমতিয়াজসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় বাদীকে জোরপূর্বক আদালতে নিয়ে ঘটনার আপোষ হয়েছে বলে জামিন নেয় আসামিরা। ওইসময় মামলার প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিলেও মামলা প্রত্যাহার হয়নি। পরবর্তীতে ২৬ অক্টোবর ফের ইমতিয়াজ ও মামলার আসামিরা জামালের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বাধা দিতে গেলে জামাল ও স্ত্রী-ছেলেকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা টাকা, পাসপোর্ট, ভিসা ও মোবাইল ফোন সেট লুটে করে।

নতুন অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ১৬ মার্চ স্বেচ্ছাবেকলীগ নেতা মাহবুব ইমতিয়াজসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অচেনা ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। ভূক্তভোগী শিমু আক্তার মামলার বাদী।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, মামলার এজাহার সূত্রে, মারধর ও লুটের মামলার আসামি ইমতিয়াজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিকেলেই তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।