জুলফিকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ৪-১-৪-১ ছকে আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেলানো হচ্ছে হেমন্তকে। তাতে ভালো খেলছেন তিনি। গত বেশ কয়েক ম্যাচ ধরে ভালো খেলার পুরস্কার হিসেবে প্রায় চার বছর জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন একসময়ের প্রতিভাবান এই মিডফিল্ডার। কিন্তু চোটের কারণে জাতীয় দলের ক্যাম্প ছাড়তে হয় তাঁকে। চোট থেকে ফিরেই করলেন গোল।
অবশেষে গোলখরা কাটাতে পারার রহস্যটা বললেন আজ ম্যাচের পর, ‘আগে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে খেলানো হলেও বর্তমানে আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেলানো হচ্ছে আমাকে। এতে গোল এরিয়ায় থাকার সুযোগ হয়। সেই সুযোগটাই আজ কাজে লাগিয়েছি।’
তবে ৪২ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে হেমন্তর গোলের হাসি মিলিয়ে দিয়েছিলেন শেখ জামালের ভালিজনভ ওতাবেক। সলোমন কিংয়ের বাতাসে বাড়ানো থ্রু বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোনাকুনি বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে ডান পায়ে প্লেসিংয়ে গোলটি করেন উজবেক মিডফিল্ডার। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি না শেখ রাসেলের গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম। লিগে এটি ওতাবেকের তৃতীয় গোল। ৪ মিনিট পর হেমন্তর ক্রস থেকে চার্লস দিদিয়েরের সাধারণ একটা শট শেখ জামাল গোলকিপার সামিউলের হাত ফসকে জালে।
২–১ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় দলীয় ডিফেন্ডিং যেন ভালো হয়, সে জন্য ৬৬ মিনিটে দুই বিদেশি ফরোয়ার্ড উঠিয়ে স্থানীয় দুই ফরোয়ার্ড মান্নাফ রাব্বি ও দিপক রয়কে বদলি হিসেবে নামান শেখ রাসেল কোচ। সে কাজটি ভালোই করেছেন দুজন। ৮৭ মিনিটে ৩–১ করেন মান্নাফ রাব্বি। তাঁর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট জামাল ডিফেন্ডার রায়হানের পা ছুঁয়ে জালে চলে যায়।
এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে শেখ রাসেল। সমান ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে শেখ জামাল।