নিজস্ব প্রতিবেদক
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে হত্যা মামলার আসামি ইমনের বিরুদ্ধে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। কিন্তু অভিযুক্ত যুবক বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) রাতে ৮ মাসের মাথায় ওই কিশোরী একটি ছেলে শিশুর জন্ম দেয়। বাড়ির লোকদের ভয়ে হাসপাতালে নেয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের জন্য হস্তান্তর করে।
শুক্রবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় শিশুর মরদেহ উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামে নানার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে বিয়ের প্রলোভনে মেয়ের সর্বনাশ করায় ওই বিচার চেয়েছেন অসহায় বাবা। অসুস্থ কিশোরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শনিবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কিশোরী জানায়, পার্শবর্তী বাড়ির জাকির হোসেনের ছেলে ইমন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। লোকলজ্জার ভয়ে বৃহস্পতিবার বাচ্চা প্রসব করার জন্য স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ সেবন করে। রাতেই স্থানীয় এক ধাত্রীর মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। তিনি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
পরে বাড়ির লোকজনের ভয়ে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে শিশুটি মারা যায়। খবরটি মুহূর্তেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। অসুস্থ অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে, গেল বছর ১৬ অক্টোবর দক্ষিণ কেরায়া গ্রামে এক বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় ইমন জেলা কারাগারে রয়েছে ৷