স্মার্ট বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ হবে সাইবার নিরাপত্তা। এ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে স্মার্ট বাংলাদেশ বুমেরাং হবে। এরপরও প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে হবে। তবে অবৈধ আইএসপির পেশিশক্তি, লাইসেন্স হালনাগাদের জটিলতা ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার পথে বাধা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে স্মার্ট কানেক্টিভিটি ফর স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ক সেমিনারে বক্তরা এসব কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক (টিআরএনবি)। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, অনলাইনে জুয়া বসে, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে হয়রানি করা হয়। এটা রোধে ইন্টারনেটে কনটেন্ট ফিল্টারিংয়ের কোনো প্রযুক্তি ৫ বছরেও পাইনি। ফলে এ অবস্থা আগামীতে ভয়ংকর হবে। তিনি বলেন, এটা মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।
তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা সেমিনারে ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের অবৈধ সংযোগ, আর পেশিশক্তির কাছে জিম্মি পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রান্তিক পর্যায়ে সুলভে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে হবে।
অ্যামটব মহাসচিব এস এম ফরহাদ বলেন, প্রচলিত অনেক পরিসংখ্যানে আত্মতৃপ্তি বোধ হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। স্মার্ট সংযোগ স্থাপনে তাদেরও কাঠখড় পোড়াতে হয়। এই যেমন বঙ্গবন্ধু টানেল ও মেট্রোরেলে নেটওয়ার্ক স্থাপনে মোবাইল অপারেটরদের বেগ পেতে হয়েছে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার-আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক জানান, অ্যাক্টিভ শেয়ারিং না থাকাতেই তারের জঞ্জাল সৃষ্টি হয় নগরীতে। অবৈধ আইএসপির পেশিশক্তি, লাইসেন্স হালনাগাদের জটিলতা ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির ইন্টারনেট সংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি স্মার্ট সেবা ও কনটেন্ট ট্রান্সফরমেশনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ডিআইজি (অপারেশনস) হায়দার আলী খান পেশিশক্তি প্রদর্শনকারীদের বিষয়ে অভিযোগ করতে ৯৯৯-এর সহায়তা গ্রহণের আহ্বান জানান। এ ছাড়া তিনি ইন্টারনেট পুলিশিং চালুর প্রস্তাব দেন।
সেমিনার সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সভাপতি রাশেদ মেহেদী। স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।