পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জিতে আবারও ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু একটি আসনে লড়াই করে পরাজিত হন দলটির নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাতে মুখ্যমন্ত্রী হতে বাধা ছিল না তার। ভারতে নির্বাচনি নিয়ম অনুযায়ী শপথ গ্রহণের ছয় মাস পর্যন্ত বিধানসভা বা লোকসভার সদস্য না হয়েও মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তবে ছয় মাসের মধ্যে তাকে রাজ্যের ক্ষেত্রে বিধানসভা এবং ভারতের সরকার গঠনের জন্য লোকসভা বা বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। সেই হিসেবে মমতাকে ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জয়ী হতে হবে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সব ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবারও পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি আসনে উপনির্বাচন হবে। সেখানে আবারও প্রার্থী হবেন মমতা ব্যানার্জি।
এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে যে সাতটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হতে চলেছে সেগুলো হলো— দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ, দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোসাবা, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ, নদীয়ার শান্তিপুর এবং কোচবিহারের দিনহাটা বিধানসভা।
বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন রাজ্যের বর্তমান কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শোভনদেব কিছুদিন আগেই ভবানীপুর আসন থেকে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে তৃণমূল নেত্রী এই আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন।
গত ২৫ জুন সাতটি আসনে দ্রুত উপনির্বাচন দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। নবান্ন সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য প্রায় ৪০০ ইভিএম বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই ইভিএম চেকিংয়ের কাজও শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন, আগামী সেপ্টেম্বরেই রাজ্যে সাত আসনে নির্বাচন হতে চলেছে।