সাপুড়ের কাছ থেকে উদ্ধার অর্ধশতাধিক গোখরার বাচ্চা বনে অবমুক্ত

ফরিদপুরে সাপুড়ের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অর্ধশতাধিক গোখরার বাচ্চা বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের হাজার বিঘা চর এলাকায় বন বিভাগের বনে সাপের বাচ্চাগুলো অবমুক্ত করা হয়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শহরের টেপাখোলা গরুর হাট এলাকায় এক সাপুড়ের কাছ থেকে সাপের বাচ্চাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।

এ কাজে নেতৃত্ব দেন চরভদ্রাসন উপজেলা ফরেস্টার মো. মোতালেব মিয়া। এ সময় সেখানে ফরিদপুর বন বিভাগের কর্মী আবদুর রাজ্জাক ও চরভদ্রাসনের বন বিভাগের কর্মী জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে এক ব্যক্তি সাপের বাচ্চা দেখিয়ে টেপাখোলা গরুর হাট এলাকায় টাকা তুলছিলেন। বিষয়টি ওই এলাকার এক তরুণের নজরে এলে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল করেন। পরে ঢাকার বন্য প্রাণী ইউনিট বিষয়টি ফরিদপুর বন বিভাগকে জানালে সাপের বাচ্চাগুলো উদ্ধার করা হয়।

মোতালেব মিয়া বলেন, গোখরার ৪৫ থেকে ৫০টি বাচ্চা ছিল। প্রতিটি বাচ্চার দৈর্ঘ্য ১২ থেকে ১৪ ইঞ্চি। তবে সাপের বাচ্চাগুলোর বয়স কত দিন হবে, সেটা তিনি বলতে পারেননি।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে ইমরান খান (৩৫) নামের এক যুবক সাপের বাচ্চা দেখিয়ে টাকা তুলছিলেন। ইমরান খান ফরিদপুর সদরের চাঁদপুরি ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা।

ইমরান খান বলেন, বংশগতভাবে তিনি সাপুড়ে। সামনে মনসাপূজা। পূজার শিরনি দেওয়ার জন্য মানুষের কাছ থেকে তিনি টাকা তুলছিলেন। কয়েক দিন আগে চাঁদপুর গ্রামে একটি শিশুকে সাপে কামড় দেয়। খবর পেয়ে ওই শিশুকে সুস্থ করেন বলে তিনি দাবি করেন। ওই সময় একটি গর্ত থেকে তিনি সাপগুলো উদ্ধার করেছিলেন।

ফরিদপুর সদরের রেঞ্জ কর্মকর্তা মীর সাইদুর রহমান বলেন, আজ সকালে খুলনার বন্য প্রাণী ইউনিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বন বিভাগের বনায়ন কর্যক্রম রয়েছে, এমন কোনো স্থানে সাপের বাচ্চাগুলো ছেড়ে দিতে হবে। ওই সিদ্ধান্তের আলোকে চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের হাজার বিঘা চরে সাপগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।

image_pdfimage_print