সাকিবকে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

তিনটি বাউন্ডারিতে ২২ বলে ২৪ রান করে তিকশানাকের বলে বোল্ড হলেন কাপ্তান সাকিব। শুরুতে চাপে ছিলেন, এরপর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সেটি সামাল দেওয়ার। তবে তাঁর উইকেটে আবার চাপে পড়ল বাংলাদেশ।

১১তম ওভারে বোলিং শেষ করলেন তিকসানা। ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ১ উইকেট তাঁর। বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ৮৯ রানে ৪ উইকেট।

ম্যাচের ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৫ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

মাহিস থিকশানার বলে স্কুপ করে বাউন্ডারিতে সাকিব পা রাখলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৬ হাজার রানে। সঙ্গে পূর্ণ করলেন একটি ডাবলও। এই রানের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতে ৪১৯ উইকেটও আছে তার।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৯ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে) ৬ হাজার রান ও ৪০০ উইকেটের ডাবল আছে আর কেবল ডোয়াইন ব্রাভোর।

পারলেন না মুহশফিক

অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম পারলেন না বাংলাদেশের ইনিংস এগিয়ে নিতে। আউট হলেন তিনি দায়িত্বজ্ঞানহীন শটে।

চামিকা করুনারত্নে শরীর তাক করে লেংথ বল করেন। একটু স্কিড করা বলটিকে কিপারের পাশ দিয়ে থার্ড ম্যান দিয়ে খেলার চেষ্টা করেন মুশফিক। কিন্তু বল তার ব্যাটের কানায় লেগে যায় কিপারের গ্লাভসে।

ম্যাচের ৮ম ওভারে বাংলাদেশের রান ৬৩ থাকতে ৫ বলে ৪ রান করে আউট মুশফিক।

মিরাজের বিদায়

প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসেই শ্রীলঙ্কাকে কাঙ্ক্ষিত উইকেট এনে দিলেন ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। স্লগ করতে গিয়ে বোল্ড হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

হাসারাঙ্গার ঝুলিয়ে দেওয়া গুগলিতে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলার চেষ্টা করেন মিরাজ। কিন্তু সোজা ব্যাটে না খেলে তিনি চেষ্টা করেন ক্রস ব্যাটে সুইপের মতো কিছু একটা করার। ব্যাটে-বলে হয়নি। বল চোবল দেয় স্টাম্পে।

টি-২০তে ২৬ বলে ৩৮ রানের ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে ৬.৫ ওভারে দলীয় ৫৮ রানে আউট মিরাজ।

মিরাজের ব্যাটিং নৈপুণ্যে পাওয়ার প্লেতে শক্ত ভিত

ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামা অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের ২৪ বলে ৩৮* রানের ইনিংসে পাওয়ার প্লেতে ৫৫ রানের শক্ত ভিত পেয়েছে বাংলাদেশ। মিরাজের সাথে ক্রিজে আছে কাপ্তান সাকিব আল হাসান। ৭ বলে পাঁচ রান করেছেন তিনি।

প্রত্যাবর্তনে অনুজ্জ্বল সাব্বির রহমান, ফিরলেন পাঁচ রানে

বহুকাল পরে দলে ফিরেও অনুজ্জ্বল রয়ে গেলেন সাব্বির রহমান। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে ফার্নেদোর পঞ্চম বলে অজ হয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাব্বির। দলীয় ১৯ রানে সময় ৬ বলে পাঁচ রান করে বিদায় নেন সাব্বির রহমান। ব্যক্তিগত ইনিংসের প্রথম বলটি এক অনন্য স্কুপে চার মেরে শুরু করেছিলেন সাব্বির। তিন ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ এক উইকেট হারিয়ে ১৯ রান।

দলে তিন পরিবর্তন, টসে হেরে ব্যাংটিয়ে বাংলাদেশ

এশিয়া কাপে বাঁচা মরার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাশুন শানাকা। টস জিতলে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিবও আগে ফিল্ডিং করতেন বলে জানিয়েছেন।

আগের ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মূলত ডুবতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে একাদশে তিন বদল এনেছে দল। নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়কে বসিয়ে ওপেনার হিসেবে খেলানো হচ্ছে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমানকে। আর পেসার এবাদত দলে ঢুকছে সাইফুদ্দিনের জায়াগায়।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচটি শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।

দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানদের সাথে হেরেছে। শ্রীলঙ্কা উদ্বোধনী ম্যাচে হেরেছে ৮ উইকেটে। বাংলাদেশ আফগানদের সাথে হেরেছে ৭ উইকেটে। আজকের ম্যাচে কোন দল এগিয়ে? বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা বেশি নাকি শ্রীলঙ্কার?

টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের সাম্প্রতিক যে পরিসংখ্যান, তাতে কাউকেই ‘ভালো’ বলার উপায় নেই। দুই দলের মধ্যে বরং কিছুটা মিল খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। চলতি টুর্নামেন্টে উভয়েরই শুরু হয়েছে আফগানিস্তানের কাছে হার দিয়ে। দুই দলেরই টি-টোয়েন্টিতে অবস্থা যাচ্ছেতাই।

শ্রীলঙ্কা তাদের সর্বশেষ ১৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ১০টিতেই হেরেছে। বাংলাদেশ তো হেরেছে সর্বশেষ ১৬ টি-টোয়েন্টির মধ্যে ১৪টিতেই। সর্বশেষ ৫ ম্যাচ হিসেবে আনলে দুই দলেরই হার চারটি করে, জয় একটি।

মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য লঙ্কানরা এগিয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ ১২ টি-টোয়েন্টির ৮টি জিতেছে তারা। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে আবার এগিয়ে টাইগাররা। লঙ্কানদের সঙ্গে সর্বশেষ তিন দেখায় দুটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের স্কোয়াড: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মাহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, ইবাদত হোসেন, পারভেজ হোসেন ইমন, নাঈম শেখ, তাসকিন আহমেদ।

শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড: দাশুন শানাকা (অধিনায়ক), ধানুশকা গুনাথিলাকা, পাথুন নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, চারিথ আসালাঙ্কা, ভানুকা রাজাপাকশা, অ্যাশেন বান্দ্রা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহেশ থিকসানা, জেফারি ভ্যানিডারসি, প্রবীন জয়াবিক্রমা, দুশমান্তা চামিরা, বিনুরা ফার্নান্দো, চামিকা করুনারত্নে, দিলশান মাদুশকানা, মাথিসা পাথিরানা, দীনেশ চান্দিমাল, নুয়াইনদু ফার্নান্দো, কাসুন রাজিথা।