বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটিং–ধসে শিরোপার সুবাস আগের দিনই পাচ্ছিল ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের রিশাদ হোসেনের ৯৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে সহজ কাজটা হঠাৎই হয়ে যায় কঠিন। চতুর্থ দিন শেষ বেলায় ২১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মধ্যাঞ্চল উল্টো পড়ে বিপদে। ২৬ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেট নেই! আজ সকালে সৌম্য সরকার, তাইবুর রহমান ও সালমান হোসেন আউট হলে বিপদ বাড়ে মধ্যাঞ্চলের।
কিন্তু ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় এরপরই। মধ্যাঞ্চলের অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরী প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও দেয়াল হয়ে দাঁড়ান। সঙ্গী হিসেবে পান উইকেটকিপার জাকের আলীকে। শুভাগতর পাল্টা আক্রমণ আর জাকের উইকেটে পড়ে থেকে গড়েন ১৫৭ রানের হার না মানা জুটি। তাতে চা পানের বিরতির আগেই মধ্যাঞ্চলের উল্লাসে কেঁপেছে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম।
জয় থেকে ১ রান দূরে থাকতে নাসুম আহমেদকে মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারেন জাকের আলী। বল বাউন্ডারি সীমানা পার করার আগেই ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে সৌম্য, মিঠুনদের সে কী দৌড়! অন্য প্রান্তে থাকা শুভাগতর শরীরী ভাষাতেও বোঝা যাচ্ছিল, কঠিন হয়ে ওঠা ম্যাচে রান তাড়া করে জয়ের আবেগটা কেমন হতে পারে।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১২১ বলে ২ ছক্কা ও ১৩ চারে ১১৪ রান করে মাঠ ছাড়েন শুভাগত। প্রথম ইনিংসেও মধ্যাঞ্চল অধিনায়ক খেলেছিলেন ১১৬ রানের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে অর্ধশতক করা জাকের এবার অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে, বল খেলেছেন ১২৪টি। মধ্যাঞ্চলের ৪ উইকেটের জয়ে প্রত্যাশিতভাবেই ম্যাচসেরা শুভাগত। এর আগে বিসিএলে প্রথম ও চতুর্থ আসরেরও শিরোপা জিতেছিল মধ্যাঞ্চল। এবার তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিতে টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণাঞ্চলের জয়রথ থামাল মধ্যাঞ্চল।