নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়ের শঙ্কায় দাঁড়িয়ে পাল্টা আক্রমণের পথই বেছে নিলেন লিটন দাস। এর মধ্যে লিটন দাস তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি।
রীতিমতো ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে ক্যারিয়ারের ২য় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৪ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান। ইনিংস পরাজয় এড়াতে বাংলাদেশকে আরও ১২৭ রান করতে হবে।
এর আগে উদ্বোধনী ব্যাটার সাদমান সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ নাঈম মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে করেন ৪৪ রান। দলীয় ৭১ রানে ফিরে যান শান্ত। নিল ওয়্যাগনারের শর্ট বলের স্রোতে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে নামা শান্ত সেই রোমাঞ্চের বলি হয়েই ফেরেন ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রান করে।
এরপর উইকেটে আসেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ নাঈম-মুমিনুল হক করেন ৩৪ রান। দলীয় ১০৫ রানের মাথায় নাঈম ফিরে যান ব্যক্তিগত ২৪ রান করে।
বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেট জুটি মাত্র ১৮ রানেই ভেঙে যান। ব্যক্তিগত ৩৭ রান করে ফিরে যান মুমিনুল হক।
এরপর উইকেটে আসেন ইয়াসির আলী। তিনিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। ব্যক্তিগত মাত্র ২ রান করে বিদায় নেন তিনি। এখন ব্যাট করছে সোহান ও লিটন দাস।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬১ ওভারে ৫ উইকেটে ২২৩ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। ইনিংস পরাজয় এড়াতে আরও ১৭২ রান করতে হবে মুমিনুল হকদের। ক্রিজে রয়েছেন লিটন দাস এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। নুরুল হাসান করেছেন ৭৬ বলে ৩৬ রান। লিটন ৯৪ বলে ৭৮ রান এবং মিরাজ ২৮ বলে ৩ রানে ক্রিজে আছেন। ইনিংস ব্যবধান এড়াতে লড়ে যাচ্ছে তারা।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করেন লিটন দাস (৮) । নাঈম শেখ ও মুমিনুল হক শূন্য। সাদমান ইসলাম সাত, নাজমুল হোসেন শান্ত চার। মাত্র ২৭ রানে টপঅর্ডারের পাঁচ উইকেট নেই। এমন শুরুর পর ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। এরপরই লিটনের প্রতিরোধ শুরু হয়।
প্রথম ইনিংসে ৫২১ রান করা নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ৩৯৫ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ।