আবদুল হামিদ বলেন, ‘রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা করোনাকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, জনসমাগম স্থলে জীবাণুনাশক স্প্রে করা ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থেকে মানবসেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চার দশকের বেশি সময় ধরে বিপন্ন মানুষের পাশে থেকে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবীরা দুর্যোগকালীন সতর্কবার্তা প্রচার, আক্রান্ত মানুষের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া, দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে ত্রাণ বিতরণ, সাময়িক আশ্রয়ের ব্যবস্থা ও জান-মালের নিরাপত্তা বিধানে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। আর এ ক্ষেত্রে দেশের যুব সম্প্রদায় প্রধান শক্তি হিসেবে কাজ করছে।’
যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখবেন— এমন প্রত্যাশা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি আশা করি, ষষ্ঠ যুব সমাবেশে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা আর্তমানবতার সেবায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের আদর্শ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তরুণ ও যুবকদের পড়ালেখার পাশাপাশি তাদের মধ্যে মানবিক গুণাবলির বিকাশ ও নেতৃত্বদানের যোগ্য করে গড়ে তুলতে— এ সমাবেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
আবদুল হামিদ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ও সিটি ইউনিট এবং যুব রেডক্রিসেন্ট, চট্টগ্রামের উদ্যোগে চট্টগ্রামে ‘ষষ্ঠ যুব সমাবেশ ২০২২’ আয়োজনের উদ্যোগকে স্বাগত এবং যুব সমাবেশে অংশগ্রহণকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
