রাশিয়ার শীর্ষ দুই কমান্ডারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ইউক্রেন আগ্রাসনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তারা হলেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সের্গেই কোবিলাশ (৫৮) ও নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলভ (৬১)। বেসামরিক স্থাপনায় হামলার নির্দেশ দেওয়ায় তাদের যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর-বিবিসি

এ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল আইসিসি। গত বছরের মার্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং রাশিয়ার শিশু বিষয়ক কমিশনার মারিয়া লভোভা বেলোভার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। ১৭ মার্চ এক বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার দখল করা অঞ্চলগুলো থেকে শিশুদের বেআইনিভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার সঙ্গে পুতিন জড়িত রয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করা হয়। পুতিন ছাড়াও রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের শিশু অধিকারবিষয়ক কমিশনার মারিয়া আলেক্সিয়েভনা এলভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আইসিসি।

এদিকে আইসিসির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে মস্কো এ নিয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

আইসিসি জানিয়েছে- ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য এ দুই রুশ কমান্ডার দায়ী বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে। সে কারণে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। কোবিলাশ ওই অপরাধ সংঘটনের সময় রাশিয়ার বিমান বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। আর সোকোলভ রাশিয়ার নৌবাহিনীর কৃষ্ণসাগর নৌবহরের কমান্ডার ছিলেন।

বিশ্বের ১২৩টি দেশ আইসিসিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে রাশিয়া, চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক সংস্থাটিকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া।