আনোয়ার হোসেন:
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৮ নং কুশাখালী ইউনিয়নের এক ঝাঁক মেধাবী তরুণদের নিয়ে ২০১৯ সালে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় কুশাখালী ব্লাড ব্যাংক৷ দীর্ঘদিন সংগঠনটি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে এগিয়ে চলে মানুষের কল্যাণে৷ কুশাখালী ব্লাড ব্যাংক একটি মফস্বল এলাকায় থাকা সত্ত্বেও -এর সদস্যগণ কাজ করে চলছে নিজ জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা নোয়াখালীতে৷
জানা যায়, কুশাখালী বাজারে চেয়ারম্যান মার্কেটে গত ০১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটির অফিস উদ্বোধন করা হয়৷ রক্তের প্রয়োজনে মোবাইল ফোনে একটি কল বা মেসেজ পাওয়ার সাথে সাথে বিনামূল্যে রক্ত দিতে ছুটে যায় সংগঠনের সদস্যরা৷ এছাড়াও সেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটির সদস্যগণ সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রম করে থাকেন৷ বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস বাংলাদেশে আক্রমণ করার সাথে সাথে জনসচেতনায় এবং ত্রাণ বিতরণে কাজ করে সংগঠনটি৷
এলাকাবাসী মনে করেন, সংগঠনটির কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় বাঁধা অর্থনৈতিক সমস্যা৷ সামাজিক, রাজনৈতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অর্থনৈতিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে সংগঠনটি আর্তমানবতার সেবায় আরো এগিয়ে যাবে৷ কুশাখালী ব্লাড ব্যাংকের রক্ত বিষয়ক সম্পাদক মো. এমরান হোসেন জানান, ‘কুশাখালী ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই মানবতার সেবায় কাজ করে চলছে৷’ তারই ধারাবাহিকতা অসুস্থ ব্যক্তির রক্তের প্রয়োজনে, সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়ন ও সেবাধর্মী কর্মকাণ্ডে সবার আগে এ সংগঠনটি এগিয়ে আসে বলে দাবি করেন এমরান৷
কুশাখালী ব্লাড ব্যাংকের সাধারণ সম্পাদক রিফাত হোসেন জানান, ‘সংগঠনটির প্রধান কাজ জরুরী ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজনে ব্লাড ডোনার নিয়ে যাওয়া অথবা রোগীর নিকটবর্তী এলাকার রক্তদাতাকে খুঁজে দেওয়া৷ একই সাথে সামাজিক বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকাণ্ড করা৷’ কুশাখালী ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি মো. রুবেল হাওলাদার জানান, দীর্ঘদিন থেকে বিনামূল্যে রক্তদান কর্মসূচি, বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি, শীত বস্ত্র বিতরণ, ইফতার সামগ্রী বিতরণ, সুবিধা বঞ্চিত অসহায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের কল্যাণে কাজ করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচি এবং শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন উপকরন বিতরণ-সহ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাজে যুবকদের নিয়ে কাজ করা৷