বিএনপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল বৃহস্পতিবার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সামনে রেখে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সংগঠনটি। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে যুবদলের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলা ১১টায় বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত, বিভাগীয় শহরে রক্তদান কর্মসূচি, বিভিন্ন সময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্থ নেতাকর্মীদের পাশে দাড়ানো। এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সামনে রেখে সারাদেশে পোষ্টার লাগানো হয়েছে।
১৯৭৮ সালের ২৭ অক্টোবর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যুবদল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমে আবুল কাশেমকে আহ্বায়ক করে যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়। পরে আবুল কাশেমকে সভাপতি এবং সাইফুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয়। এরপর বিগত ৪৪ বছরের ইতিহাসে মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকতউল্লাহ বুলু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাইফুল আলম নীরব যুবদলের নেতৃত্ব দেন।
গত ২৭ মে যুবদলের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে সভাপতি এবং মোনায়েম মুন্নাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আনা হয়েছে মামুন হাসানকে, সহ-সভাপতি পদ দেওয়া হয়েছে নুরুল ইসলাম নয়নকে, শফিকুল ইসলাম মিল্টনকে সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, গোলাম মওলা শাহীনকে যুগ্ম সম্পাদক ও ইসাহাক সরকারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির বিষয়ে মোনায়েম মুন্না বলেন, এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্লোগান হচ্ছে- বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফায়সালা হবে রাজপথে। দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনকে তরান্বিত করতে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে যুব সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের তরুণ ও যুবকদের মধ্যে একটা বার্তা দেওয়া হবে। এছাড়া বিগত দিনের আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে দাড়ানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেন, অনাড়াম্বরভাবে নয়, রাজপথের দৃপ্ত শপথ নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। আগামীতে রাজপথের আন্দোলনকে গতি সৃষ্টি করতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শপথ নেওয়া হবে। সংগঠনের প্রত্যেক নেতাকর্মী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করার প্রস্তুতি নিয়ে রাজপথে নেমে আসার প্রতিজ্ঞা করবে।