ধোনির অধিনায়কত্বে বদলে গেছে চেন্নাই। অধিনায়কের পদে ফেরার পর আরও এক জয়ের দেখা পেল গত বারের চ্যাম্পিয়নরা। রোববার (৮ মে) দিল্লি ক্যাপিটালসকে তারা হারায় ৯১ রানের বড় ব্যবধানে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ডেভন কনওয়ে ও রুতুরাজ গায়কওয়াড় আর ইনিংস শেষে ধোনির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে ২০৮ রানের বিশাল পুঁজি পায় চেন্নাই। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১১৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় দিল্লি। এ হারে টেবিলে দিল্লির অবস্থানের কোনো পরিবর্তন না হলেও চেন্নাই এই জয়ে টেবিলে এক ধাপ উপরে উঠেছে। ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের আটে চেন্নাই। আর সমান ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে দিল্লি।
আইপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক বদলে এবার যেন নিজেরাই বদলে গেছে। তাইতো টুর্নামেন্টের শুরুতেই হারের বৃত্তবন্দি হয়ে দলটি এখন শঙ্কায় প্লে-অফ রাউন্ডে কোয়ালিফাই করা নিয়েই। তবে শেষের দিকে যখন গাণিতিক সম্ভাবনাতেই তাদের প্লে-অফ স্বপ্ন তখন ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছে চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা। মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির বোলারদের বিপক্ষে দারুণ ব্যাট করে চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা।
ওপেনিং জুটি থেকে আসে ১১০ রান। ডেভন কনওয়ের ৪৯ বলে ৮৭, রুতুরাজ গায়কওয়াড় করেন ৩৩ বলে ৪১ রান। শিভাম ধুবের ১৯ বলে ৩২ এবং অধিনায়ক ধোনি খেলেন ৮ বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস। এতে চেন্নাই দিল্লিকে টার্গেট দেয় ২০৯ রানের।
এমন রানবন্যার দিনে দারুণ বোলিং করেছেন খলিল আহমেদ। ৪ ওভার বল করে মাত্র ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। খরুচে বোলিংয়ে ৪ ওভারে ৪২ রান দিলেও ৩টি উইকেট নিয়েছেন নরখিয়া।
এই বিশাল লক্ষ্য করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পরে দিল্লির ব্যাটাররা। নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন অজি ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শ। এছাড়াও ২৪ রান করেছেন শার্দুল ঠাকুর।
চেন্নাইয়ের বোলাররা ছিল অসাধারণ। প্রত্যেকটা বোলারই উইকেট পেয়েছেন। ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন মঈন আলি। এছাড়াও দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন মুকেশ চৌধুরী, সিমারজিৎ সিং এবং ডোয়াইন ব্রাভো।