গতকাল মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে দারুণ এক দিন কাটে বাংলাদেশের। দ্বিতীয় দিনটি নিজেদের করে রাখে বাংলাদেশের বোলার-ব্যাটাররা। তবে আজকে আক্ষেপ রয়ে গেলো। সেঞ্চুরিটা হলো না মাহমুদুল হাসান জয়ের। আগের দিনের সাথে মাত্র ৪ রান যোগ করেই সাজ ঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে। তবে, অধিনায়ক মুমিনুল হক এবং মিডল অর্ডার ব্যাটার লিটন দাসের দৃঢ়তায় ঠিকই নিউজিল্যান্ডকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ দল।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৫০। ২২ রান লিড নিয়ে ব্যাট করছেন টাইগাররা। মুমিনুল ও লিটন দুজনেই এগিয়ে যাচ্ছেন সেঞ্চুরির দিকে। মুমিনুল ব্যাট করছেন ৮২ রানে, অন্যপাশে লিটন আছেন ৭২ রানে।
এর আগে গতকাল নিউজিল্যান্ডকে ৩২৮ রানে অলআউট করে দিয়ে, নিজেদের ইনিংসে ২ উইকেটে ১৭৫ রান করে বাংলাদেশ। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ১৫৩ রানে পিছিয়ে ছিল টাইগাররা।
সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেটে ২৫৮ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশ বোলারদের তোপে সুবিধা করতে পারেনি কিউইরা। দ্বিতীয় দিন বাকি ৫ উইকেটে মাত্র ৭০ রান যোগ করতে পারে নিউজিল্যান্ড। পেসার শরিফুল ইসলাম-স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোমিনুল হকের তোপে ৩২৮ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশের শরিফুল-মিরাজ ৩টি করে, মোমিনুল ২টি ও এবাদত ১টি উইকেট নেন। ২৫টি ডেলিভারিতে ৬ রানে ২ উইকেট নেন টাইগার দলপতি।
দ্বিতীয় সেশনে নিউজিল্যান্ড ইনিংসে শেষ হওয়ার পর ব্যাট হাতে দলকে দারুণ সূচনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়। দেখেশুনে খেলে ১৮ ওভার পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থাকেন তারা। তবে ১৯তম ওভারে ওয়াগনারের বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ২২ রান করা সাদমান। এতে ৪৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন মাহমুদুল ইসলাম জয়। ১ উইকেটে ৭০ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দিনের শেষ সেশনে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করেন মাহমুদুল ও শান্ত। স্পিনার রবীন্দ্রর বলে ছক্কা মেরে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ পান শান্ত। টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলতে শান্ত খেলেন ৯০ বল।
তখন অন্যপ্রান্তে হাফ-সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন জয়। কিছুক্ষণ বাদেই টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই হাফ-সেঞ্চুরি পেতে জয় খেলেন ১৬৫ বল।
হাফ-সেঞ্চুরির পরও নিজের ইনিংস বড় করছিলেন শান্ত। কিন্তু ওয়াগনারের আউটসুইং সামলাতে না পেরে গালিতে ইয়ংকে ক্যাচ দেন শান্ত। ১০৯ বল খেলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৪ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ১০৪ রান যোগ করেন শান্ত-জয়।
৫৮তম ওভারে দলীয় ১৪৭ রানে শান্তর আউট হওয়ার পর দিনের খেলার ৯ ওভার বাকি ছিল। এই সময়টায় আর কোনো বিপদ হতে দেননি জয় ও মোমিনুল। দিন শেষে ২১১ বল খেলে ৭টি চারে ৭০ রান করেন জয় এবং ২৭ বল খেলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল।