বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) নামে নতুন একটি দলের নেতারা রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে।
বুধবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে তারা এই আবেদনপত্র জমা দেন।
নতুন এই দলটির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলটির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি নতুন দল। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে যারা আছেন, বিভিন্নভাবে তাদেরকে আমরা সংগ্রহ করেছি। তাদের নিয়ে আমরা কাজ করেছি। মুক্তিযুদ্ধের পরে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিদের নিয়েই এই দল গঠন করা হয়েছে। এখানে অন্য কোনো দলের লেজুড়বৃত্তি বা সহযোগিতা আমরা ফিল করি না। এখন যদি কেউ কিছু বলে, সে ব্যাপারে আমাদের কোনো দায় নেই।’
জামায়াতের অনেকেই এই দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, এমন আলোচনা আছে, এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিডিপির চেয়ারম্যান বলেন, ‘না না। আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলব। যা আছে আমরা পরিষ্কার করব। আজ এ বিষয়ে আমরা কোনো কথা বলব না।’
তিনি বলেন, দেশের সংবিধান মেনে আমরা রাজনীতিতে এসেছি। দেশের সংবিধানের প্রতিটি শব্দ আমরা সম্মান করি এবং সেটা লালন করেই রাজনীতি করি। সংবিধানের বাইরে কোনো কিছুতেই যেতে আমরা রাজি নই।
দলে যুদ্ধাপরাধী কেউ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিডিপির চেয়ারম্যান বলেন, যারা স্বাধীনতার পরে জন্মগ্রহণ করেছে, তাদেরকে কেউ বা কারা যুদ্ধাপরাধী বানালে বানাতে পারে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হবো। তখন দলের বিষয়ে বিস্তারিত বলব। এখন নিবন্ধনের জন্য এসেছি। নিবন্ধনের যতগুলো শর্ত, সব পূর্ণ করে আবেদন করেছি। আশা করছি ইসির নিবন্ধন পাবো।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। এর পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিবন্ধন বাতিলের পর ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিছু আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।
এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের একদল সংস্কারপন্থী নেতা-কর্মী ২০২০ সালের ২ মে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) নামে একটি দল গঠন করেছিলেন। এবি পার্টির নেতারাও দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন।
সদ্য আত্মপ্রকাশ করা বিডিপির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা না বললেও তার এই দলের সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হকের (নাঈম) রাজনৈতিক পরিচয় সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। নিজামুল হক জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পরে তিনি জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য ছিলেন।