মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা সামরিক বাহিনীর ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাশাপাশি চারটি কোম্পানিকেও কালো তালিকাভুক্ত করেছে বলে দেশটি জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, এ কোম্পানিগুলো থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী লাভবান হয়ে আসছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। নতুন এ নিষেধাজ্ঞা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির অভ্যুত্থানকারীদের ওপর চাপ বাড়াবে বলেও মনে করা হচ্ছে।মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও এর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র আগেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন পশ্চিমা দেশও মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মিয়ানমারে গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে মিন অং হ্লাইং নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী ফেব্রুয়ারিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে নিজেরা ক্ষমতায় বসে। তারপর থেকে দেশটি টানা বিক্ষোভ, ধর্মঘট ও আইন অমান্য আন্দোলন দেখেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যাপক দমন-পীড়নের আশ্রয় নিতে হয়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীকে অভ্যুত্থানবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে লড়তেও হচ্ছে।
নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দেওয়া বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও এর নেতারা পথ বদলে গণতন্ত্রের পথে না ফিরলে আমরা এ ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবো।’ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার তারা মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর মারাত্মক বল প্রয়োগ করার দায়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর সাত গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে; যাদের মধ্যে তথ্যমন্ত্রীসহ স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিলের কয়েকজন সদস্যও আছেন। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র আগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিবারের ১৫ সদস্যকেও এ দফার নিষেধাজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।