অবশেষে মিতু হত্যায় সাবেক এসপি বাবুলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (১২ মে) মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন বাদি হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক এসপি বাবুল সহ আরও ৮ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজহারে প্রধান আসামি বাবুল আক্তারকে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া এজহারভুক্ত আরো ৭ আসামি হলেন কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতাশেমুল ভোলা, ওয়াসিম ওরফে মোতালিব, আনোয়ার হোসেন, খায়রুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম ওরফে সাক্কু এবং শাহজাহান মিয়া। এর মধ্যে কামরুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
এদিকে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, মিতু হত্যায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের দেয়া মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে অবস্থান করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা।
পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় বাদি ছিলেন স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। তদন্তে তার বিরুদ্ধেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার (১২ মে) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডির পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পিবিআই প্রধান উপ-মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার। তিনি বলেন, মিতু হত্যার সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। নতুন মামলা হলেই তিনি গ্রেফতার হবেন। উপ-মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার আরও বলেন, বাবুল আক্তারকে আজ গ্রেফতার দেখানো হবে এবং আগের মামলা ফাইনাল রিপোর্ট দেবে পুলিশ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১১ মে) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকাল ৭টা ১৭ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে প্রথমে গুলি করে। এরপর কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ওই সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। তার আগে তিনি চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন বাবুল আক্তার। মামলাটি চট্টগ্রামের নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ৩ বছর ১১ মাস তদন্তে থাকার পর গত বছরের মে মাসে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু বাবুল আক্তার মামলার বাদি। তাকে আটক করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন বুধবার আদালতে পাঠানো হবে।