মালয়েশিয়ার সঙ্গে আজ জিততে পারল না মেয়েরা

তাদের ৪ জনের ডিফেন্ডিং লাইন খুব জমাট ছিল। সঙ্গে একজন হোল্ডিং মিডফিল্ডার সব সময় দুই সেন্টারব্যাকের সামনে বাড়তি ছায়া দিয়েছেন। দুই উইঙ্গার ভেতরের দিকে এসে রক্ষণভাগকে সহায়তা করেছে। এতে সাবিনা খাতুন, সিরাত জাহানরা ফাঁকা জায়গা তৈরি করতে পারেননি। এমন দলের গোলের তালা ভাঙার জন্য সাধারণত উপায় দুটি। প্রথমত, একক প্রচেষ্টায় রক্ষণভাগ ভাঙার মতো দ্রুত গতি সম্পন্ন স্কিল ফুল খেলোয়াড় প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, সেট পিস। সেট পিসে কিছুটা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারলেও একক প্রচেষ্টায় রক্ষণভাগ ভাঙার মতো খেলোয়াড় বাংলাদেশ দলে নেই।

তাই বলের দখলে অনেক এগিয়ে থেকেও আজ আর গোলের দেখা পাওয়া গেল না। শুরুর ৮ মিনিটের মধ্যে চারটি কর্নার পায় বাংলাদেশ। মালয়েশিয়া গোলকিপার আজ যেন পণ করেই নেমেছিলেন, আর যায় হোক আগের ম্যাচের মতো সেট পিস থেকে গোল খাব না। পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে এসে ফিস্ট করে দলকে বিপদমুক্ত করেছেন কয়েকবার। এ ছাড়া ৮ মিনিটে আঁখির বাম পায়ের বাম দিকে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেছেন মালয়েশিয়া গোলকিপার।

ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি এসেছিল ১১ মিনিটে। মণিকার পাসে গোলমুখে শুধু ঠিক ঠিকঠাক পা লাগাতে পারলেই আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোলের মালিক হয়ে যেতেন সেন্টারব্যাক মাসুরা মাসুরা পারভিন। তাঁর টোকা ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ওখান থেকে বল বাইরে মারাটাই বুঝি বেশি কষ্টের।

১৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া সাবিনার শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেছেন নুরুল আজুরিন। গোল পাওয়া যাচ্ছে না দেখে দ্বিতীয়ার্ধে ঋতুপর্ণা চাকমা, শামসুন্নাহারকে বদলি হিসেবে নামানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরাও বাড়তি কিছু করে দেখাতে পারেননি। মালয়েশিয়ান রক্ষণভাগে বারবার ঝাঁকুনি দিলেও গোল আর পাওয়া যায়নি। শেষ মিনিট পর্যন্ত সেট পিসে গোলের সুযোগ তৈরি করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু গোল নামক সোনার হরিণ আর আসেনি।